বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নাকচ করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় , সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা (ঠাকুরগাঁও), সিনিয়র সহ সভাপতি ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি এম এ ছিদ্দিক মিয়া, গোলাম মোস্তফা (ময়মনসিংহ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল করিম (কুষ্টিয়া), এ কে এম শরিফুল হুদা সাগর (রাজবাড়ী), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদুর রহমান , দিলদার হোসেন পাটোয়ারী ( চাঁদপুর) প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের দাবি দীর্ঘদিনের। সরকার বারংবার এ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েও তা আবার নাকচ করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অঙ্গীকার করেন। ক্ষমতা গ্রহনের পরেও তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। সে ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রণালয়ে ধরনের একটি সিদ্ধান্তে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন। তারা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারি শিক্ষকদের ১২ তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের প্রস্তাব গত ২৯ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। উহার প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৮ সেপ্টেম্বর উক্ত প্রস্তাব নাকচ করে দেন। ওই চিঠিতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিদ্যমান বেতন যথাযথ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.