বেতন বৈষম্য নিরসনসহ চার দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরীরা। পরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে কর্মস্থলে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।
রোববার সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে দপ্তরি কাম প্রহরীরা সমাবেত হন।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে – দপ্তরি কাম প্রহরীদের পদটি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তকরণ, আইনানুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বেতন বৈষম্য নিরসন এবং সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা করা।
আন্দোলকারীরা জানান, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে প্রহরার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ২০১৩ সালে এ পদে নিয়োগের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আমাদের কোন সাপ্তাহিক ছুটি নেই, নানাবিধ সমস্যার কারণে এবং চাকরি জাতীয়করণের জন্য ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি। চলতি বছর ৩০ জুলাই আদালতের রায় আমাদের পক্ষে আসলেও এ বিষয়ে অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অধিদপ্তরে প্রায় পাঁচ হাজার দপ্তরি কাম প্রহরী সমাবেত হন। তারা মাথায় ফিতা বেঁধে, ব্যানার নিয়ে সমাবেত হয়ে দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান ও বিক্ষোভের পর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম মঞ্জুর কাদির আন্দোলনকারীদের মাঝে উপস্থিত হন। এ সময় মহাপরিচালক আন্দোলনকারীদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন, দপ্তরি কাম প্রহরী পদ সৃজন করতে আমরা জনপ্রশাসনে চিঠি দিয়েছি। সেখান থেকে অনুমোদন হলে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মোল্লা ঘোষণা দেন এক মাসের মধ্যে যদি চার দফা দাবি পূরণ না হয় ফের লাগাতর আন্দোলন ও অধিদপ্তর ঘেরাও করা হবে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.