এইমাত্র পাওয়া

কর্মক্ষেত্রে পুরুষের সেক্সুয়াল খায়েশের উৎস কোথায়?

মুন তাসলিমা শেখ : একজন সরকারি ডিসি সাহেবের অফিস-কামলীলা ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি দেখে মনে হয় অফিসের ইন্টারনাল সিসিটিভি ধরনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কর্মটি। তার পার্টনার একজন তরুণী, আপদমস্তক বাঁধাকপি দিয়ে মাথা বাঁধা, প্লাস লম্বা বোরকাও আছে। পরতে পরতে, খুলে খুলে তাকে ডিসি সাহেবকে প্রণোদিত করতে হচ্ছে। সময় লাগছে। ডিসি সাহেব ভদ্রজন। ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করে করে ধাপে ধাপে এগোচ্ছেন। অবশ্য নারীজন বেশ অ্যাক্টিভভাবেই তার রোল প্লে করেছেন। আমি সম্পূর্ণ দেখিনি। এ ধরনের ভিডিও সম্পূর্ণ দেখার দরকার পড়ে না। মোটা দাগের পর্নো দেখার আগ্রহ আমার কোনোকালে নেই। একজন ডিসির রুমে অ্যাটাস্ট বাথ থাকার পাশাপাশি একটি মিনি বেডরুম থাকে দেখলাম। হয়তো তাকে অফিসের চাপে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে হয়। বাঁধাকপি মাথা নিয়ে কিছু বলবো না, তবে বাঁধাকপি মাথার সঙ্গে যে ধর্ম তথা ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই তা এ ভিডিও দেখে বোঝা যায়। আপদমস্তক মুড়ে থাকা যাতে বেগানা পুরুষের যৌন দৃষ্টি না পড়ে। অবশ্য এক্ষেত্রে বেগানা পুরুষের যৌন দৃষ্টি বন্ধ হয়েছে কিনা এমন বেগানা প্রশ্ন আমি করবো না।

মেয়েটি সরকারি কর্মকর্তার অধস্তন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি এবং বেশ অল্পবয়স্ক। বর্ণনা করছি আমি ভিডিওটি শেয়ার করতে চাই না। কারণ সেটুকু রুচিবোধ আমি হারাইনি। শুধু বলবো এ দৃশ্য প্রতিটি কর্মজীবী মেয়ের নাইট্মেয়ার। কারণ ‘অফিসে যৌন সম্পর্ক হয়…’ এ অপবাদে অনেক নারীকে চাকরি জীবনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি অনেককাল। অনেক সেক্টরে মেয়েরা সে প্রতিকূলতা পার হতে পেরেছে। কিন্তু ভিডিওটি আমাকে চিন্তিত করলো, কর্মজীবী মেধাবী মেয়েদের কথা ভেবেই। যৌন সন্ত্রাস যদি স্বয়ং বসের থেকে আসে সেখানে সে মেয়েদের চাকরি জীবন কতোটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সে দুঃসংবাদ কর্মচারীর নারীর থেকে আর কেউ জানে না।

আসুন একটু আলোচনা করি তাহলে পুরুষের কর্মক্ষেত্রে এ সেক্সুয়াল খায়েশের উৎস কোথায়? এটা কি শারীরিক? মানসিক? নাকি ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত? প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি যৌন পর্ব আছে। সেটা তার খুব ব্যক্তিগত। খুব রোম্যান্টিক। নিজস্ব। এটি সে কার সঙ্গে করবে সে বিষয়ে আমি কোনো নিয়ম জারি করতে চাচ্ছি না। কিন্তু এই যে অফিসকক্ষে যৌন বিছানা রেডি এবং নারী দেখলে সেক্স পার্টনার মনে হওয়া এর পেছনের কারণ কিন্তু আলাদা। যৌন সম্পর্ক এবং দাপ্তরিক কাজ সাইড বাই চলতে পারে কিনা সে বিষয়ে দাপ্তরিক কিছু কড়া নীতিমালা আছে। কারও কাজ করতে করতে প্রেমাকাক্সক্ষা জাগতেই পারে। হঠাৎ অসময়ে অফিস ত্যাগ করে বাড়িতে হানা দেয়ার বাংলা সিনেমা আমরা দেখেছি এবং কেউ চুরি করে বাড়িতে গিয়ে এক পশলা দেহপ্রেম করে আসবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত তার। কার সঙ্গে আপনার সেক্স হবে সেটি আপনার ব্যক্তিগত হলেও কাজ করতে গেলে আপনাকে কাজের নীতিমালা মেনে চলতে হবে। আপনার কলিগ, অধস্তন এবং একই সেকশনে কর্মরতের সঙ্গে আপনি এ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। পশ্চিমে এ কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হয় এবং কেউ একই অফিসের কারও প্রেমে পড়লে একজনকে সে অফিসের চাকরি ছাড়তে হয়। আর আপনি কাঁথা -বিছানা নিয়ে অফিস করছেন।

আসেন বহুগামিতা নিয়ে কথা বলি। কোনো ধরনের জেন্ডার উল্লেখ না করে বলবো আমরা পুস্তকে পড়েছি, বহুগামিতা মানব চরিত্রের সঙ্গে লেপ্টে থাকে। কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে আমরা সে প্রবৃত্তি কেন দেখি না? কারণ পুরুষের বহুগামিতার সব লালসা ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত তাই এবং অধিকতর দুর্বল নারীকে ব্যবহার করে পুরুষ এটা করে যাচ্ছেন করছেন, পার পেয়ে যাচ্ছেন তার পেছনের কারণগুলো কি? খুব জটিল কিছু নয়, তাদের এ চক্রটি বিশাল। শাস্তি তো পেতেই হয় না বরং একে অপরের পিঠ চুলকে কালেক্টিভলি করে যাচ্ছেন। পুরুষের যৌন অপরাধকে যতো কম গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় আমার মনে হয় এর থেকে কম অপরাধের এরিয়া আমাদের দেশে আর নেই। কতোটা দুর্বলচিত্তের যৌন লালসার এ শ্রেণিটা, চোরের মতো পাশের রুমে ঢুকতে হয় একটু চটকাচটকির জন্য। গভীর রাতে গৃহসহকারীর রুমে টোকা দিতে হয়। কি করুণ প্রাণী এরা? সেক্স কি এরা জানে নারে। ইতর শ্রেণির প্রাণীগুলো।

ফেসবুক থেকে

সূত্র : বাংলাদেশ সময়.কম ।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.