এইমাত্র পাওয়া

বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে থাকবে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। যে সব স্থানে আমরা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেসব স্থানে স্মৃতিফলক তৈরি করা হবে। যত জায়গায় বদ্ধভূমি আছে সেসব জায়গায় অন্য নকশায় স্মৃতিফলক হবে। ঢাকা শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেক সড়কের নামকরণ করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লা‌বের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার করেছি। কিন্তু যারা হুকুম দিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার হয় নাই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিমানবন্দরে মাঝে মাঝে সোনা চোরাচালান ধরা পড়ে। কারা ধরা পড়ে? যারা পড়াশোনা না করে শুধু তারাই ধরা পড়ে। দুবাই থেকে ঢাকায় যাদের নামে পাঠায় তারা কি কোনোদিন ধরা পড়ছে, ধরা পড়ে নাই। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার হুকুম দিয়েছে তাদের বিচার হয়নি।

মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭৫  সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানি দূতাবাস, আমেরিকান দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি। খুনি না হলে, আত্মস্বীকৃত খুনি যারা ছিল তাদের বিদেশে পাঠিয়ে বড় বড় পদে পদায়ন করতেন না।  বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের জাতের বিচার না হয় এর জন্য ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ জারি করে বিচারের রাস্তা বন্ধ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন, সে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দ বাদ দিয়ে আবার সেই পাকিস্তানি কায়দায় ধর্মীয় রাজনীতি সে চালু করে।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব দেয়। জামাত ইসলামের অনুমতি দেয়। এতে পরিষ্কার বুঝা যায়, সে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের ইন্টারভিউতে বলে গেছে, জিয়ার সঙ্গে কী কথা হয়েছিল। এজন্য ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে এবং বিশ্ববাসীর সামনে এদের বিচার করতে হবে। এটা আজকের সময়ের দাবি। না হয় বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি পাবে না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সম্পন্ন করব।’

মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজী মো. দেলোয়ার হোসেন সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.