২০২১ সাল থেকে দেশের সব স্কুল ও মাদ্রাসায় বাধ্যতামূলকভাবে কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষার পাঠদান শুরু করতে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে বই তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংসদীয় কমিটির গত বৈঠকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতির তথ্যই বুধবার কমিটিকে জানায় মন্ত্রণালয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার পাঠ দিতে সিলেবাস তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর ভিত্তিতে কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা ১, ২, ও ৩ নামে তিনটি বই প্রণয়নের কাজ চলছে।
পাশাপাশি নবম-দশম শ্রেণির সকল শাখায় (বিজ্ঞান/মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা) কারিগরি শিক্ষার বই বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাক-বৃত্তিমূলক ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর জন্য সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে, যা চূড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আফছারুল আমীন বলেন, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। ২০২১ সাল থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।
গত জুনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও ২০২১ সাল থেকে দেশের সব স্কুলে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে কমপক্ষে দুইটি ট্রেড থাকবে যাতে শিক্ষার্থীরা এর যে কোনো একটিতে পারদর্শী হতে পারে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরির একটি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হবে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি শ্রেণিতে বছরের নির্ধারিত সিলেবাস নির্দিষ্ট সময়ে শ্রেণি কার্যক্রমের মাধ্যমে শেষ হয় কিনা- সে বিষয়ে নজরদারি করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এ কে এম শাহাজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, আবদুস সোবহান মিয়া এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু বৈঠকে অংশ নেন।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.