জামালপুরের বকসীগঞ্জে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এএসআই ফেরদৌস হোসেনকে (৩২) ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফেরদৌস হোসেন বকসীগঞ্জের কামালের বার্তি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর মা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সাধুরপাড়া ইউপি সদস্য থাকায় পুলিশি নানা কাজের অজুহাতে এএসআই ফেরদৌস হোসেন তার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার ১৪ বছরের মেয়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ফেরদৌসের। নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্ত করতেন ফেরদৌস। পুলিশের চাকরি করায় মেয়েটি প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এক পর্যায়ে গত ৬ জুন সকালে বাড়িতে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এএসআই ফেরদৌস। এসময় ওই ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে এএসআই ফেরদৌস পালিয়ে যান।
স্কুলছাত্রীর মা মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী এএসআই ফেরদৌস হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ঘটনার ১৯দিন পর লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘটনার পর বকসিগঞ্জ থানার ওসি একেএম মাহবুবুল হকের কাছে জানালে তিনি বিচার করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়ে আইনের আশ্রয় না নেয়ার অনুরোধ করেন। পরে কালক্ষেপণ করে এএসআই ফেরদৌস হোসেনকে জামালপুর পুলিশ লাইনে বদলির ব্যবস্থা করেন।
বকসীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মাহবুবুল হক বিচারের আশ্বাসের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার কি বিচার করার ক্ষমতা আছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগ পেয়ে এএসআই ফেরদৌস হোসেনকে ক্লোজড করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে এএসআই ফেরদৌস হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.