পাহাড়ের দুর্গম এলাকার শিশুদের শিক্ষার আলো দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু এর বিনিময়ে যা পাচ্ছেন তা প্রয়োজনীয় তুলনায় অত্যন্ত কম।সবকিছু ত্যাগ করে জ্ঞানের আলো দিতে শিক্ষকরা যা করে যাচ্ছেন তা অনুকরণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তা করা হচ্ছে। কথাগুলো বলেছেন রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.খোরশেদ আলম।
সোমবার কল্যাণপুর উদ্যোগ রিসোর্ট সেন্টারে সেচ্ছাসেবী সংস্থা সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাঙামাটির বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলার ১৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ জন শিক্ষককে ৭ দিনব্যাপী গুণগতমাণ ও স্বাস্থ্য পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সরকারি শিক্ষক যা করেন, বেসরকারি শিক্ষকরাও তা করেন। কিন্তু মাস শেষে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষকরা অনেক পিছিয়ে। তারা শিশুদের জন্য যে ত্যাগ করছেন তা অনুকরণীয় বিষয়। দুর্গম এলাকার শিশুদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে বেতন বিবেচনা নয় বিবেকবোধ থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জেলা সহকারী শিক্ষাকর্মকর্তা পরিণয় চাকমা, সুবর্ণ ভুমির রাঙামাটি সমন্বয়ক মানবাশীষ চাকমা।
সুবর্ণ ভূমি ফাউন্ডেশন দুর্গম এলাকার শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পুষ্টির প্রাপ্তিতা নিশ্চিত করতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে রাঙামাটিতে কাজ করেছে।
বর্তমানে জেলার বরকল উপজেলার উলুছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় হরিণা মুখ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হুদুছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাক্কোবাজে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহযোগিতা করছে সংস্থাটি। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে জানিয়েছেন সুবর্ণ ভূমির কর্মকর্তা মানবাশীষ চাকমা।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.