এইমাত্র পাওয়া

৩ সন্তান নিয়ে লন্ডন যাওয়া হলো না চিকিৎসক দম্পতির, কাঁদছে সোশ্যাল মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ভারতের আহমেদাবাদের ধ্বংসস্তূপের কোথাও চাপা পড়ে আছে রাজস্থানের এক পরিবারের একটি মোবাইল ফোন। সেই ফোনটি হয়তো আর কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

হয়তো ফোনটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে সেই ফোনে তোলা একটি সেলফি রয়ে গেছে ২৪২ জন আরোহীর ওপর নেমে আসা মর্মান্তিক ঘটনার এক নীরব সাক্ষ্য হয়ে। ছবিটি ছিল ওই পরিবারের জন্য নতুন এক জীবনের সূচনা।

উদয়পুরের এক হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করা কোমি ভায়াস তার চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিন সন্তান নিয়ে লন্ডনে স্বামী প্রতীক যোশির কাছে চলে যাচ্ছিলেন। তাদের মুখে যে আনন্দের ঝিলিক ছিল, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল।

দুর্ঘটনার শিকার ওই উড়োজাহাজে চিকিৎসক যোশির তোলা সেলফিতে দেখা যায়, তিনি এবং তার স্ত্রী এক পাশে বসে হাসছেন, আর তাদের ছোট যমজ ছেলে দুটি ও বড় মেয়ে উল্টো পাশের আসনে বসে আছে। ছেলেরা ক্যামেরার সামনে হাসার জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করছে, আর বড় মেয়েটি উজ্জ্বল মুখে হাসছে।

পরিবারের ঘনিষ্টরা জানান, চিকিৎসক কোমি ভায়াস ও প্রতীক যোশি দম্পতি উদয়পুরের প্যাসিফিক হাসপাতালে কাজ করতেন। যোশি কিছুদিন আগে লন্ডনে চলে যান।

এই সপ্তাহের শুরুতে রাজস্থানের বংশওয়াড়ায় ফিরে এসে পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন যোশি। দম্পতির যমজ ছেলে নকুল ও প্রদ্যুতের বয়স ছিল পাঁচ বছর। আর তাদের মেয়ে মিরায়ার বয়স ছিল আট।

চিকিৎসক দম্পতি ও তাদের তিন সন্তানের এই করুণ পরিণতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা দুঃখে ভাসছেন। সেই সেলফি শেয়ার দিয়ে তাদের অনেকে বলছেন, মাত্র কয়েক মুহূর্তেই সব স্বপ্ন ছাই হয়ে গেল। জীবন কতটা ভঙ্গুর—তাই মনে করিয়ে দেয় এই করুণ মৃত্যু।

শিক্ষাবার্তা /এ/১৩/০৬/২০২৫

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading