মাদারীপুরঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট দিয়ে ফেঁসে গেলেন মাদারীপুর সদরের ১০৮নং লেবুতলী বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। আর বিভাগীয় অধিদফতর থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও সচিবালয়ের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মো. শাহাদাত হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ দালাল মুক্ত হবে কবে’, ‘এই অধিদফতর ও সচিবালয় চলে দালালচক্রের মাধ্যমে।’ এ ছাড়া বর্তমান সরকারবিরোধীও নানান ধরনের পোস্ট করেন শাহাদাত হোসেন। বিষয়টি নজরে আসলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
পরে ব্যাখ্যা পেলে বিষয়টি সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে সুপারিশ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে নোটিশ দেন।
সেখানে বলা হয়, সরকারি বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) বিধিমতে ‘অসদারচরণ’ এর সামিল বিধায় কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিভাগীয় অধিদফতরের দুটি চিঠিতেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৮নং লেবুতলী বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অসাবধানবশত ভুলের কারণে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুল ও ক্ষমা চেয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছি জেলা অফিস ও বিভাগীয় অধিদফতরে। আশা করি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে মাফ করে দেবেন। আর আগামীতে এমন কর্মকাণ্ড আমি করবোও না।’
এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারি বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে এভাবে সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় কার্যালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিভাগীয় অফিস থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নেবেন। তবে, জেলা অফিস থেকে প্রাপ্ত জবাবে শাহাদাত হোসেন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৪/০৫/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.