এইমাত্র পাওয়া

জুনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন চান ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ আগামী জুন মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এই ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করলে সর্বাধিক শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ‘পরামর্শক কমিটির’ করা এক জরিপে শিক্ষার্থীরা এ মতামত দিয়েছেন।

গত ২৩ মার্চে ডাকসু নির্বাচন সফল করতে মতামত চেয়ে শিক্ষার্থীদের ড্যাশবোর্ডে ‘ডাকসু পোল’ নামে নতুন একটি মেন্যু দেওয়া হয়। এই কাজটি করে ডাকসু নির্বাচনের পরামর্শদান কমিটি। এতে অংশ নেন ৮১টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের এক হাজার ৭৪৩ জন শিক্ষার্থী। জরিপের এ ফলটি চলতি মাসের ৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়।

জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগামী তিন মাস অর্থাৎ জুনের মধ্যে নির্বাচন চান এক হাজার ৩০৭ জন শিক্ষার্থী, যার হার ৭৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। অন্যদিকে এক বছর পর ৫ শতাংশ এবং এক বছরের আরো পরে চান ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।

এর পাশাপাশি মৌলিক কিছু বিষয়ের সংস্কারসহ নির্বাচনে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলাপ করে আগানো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং ভোটগ্রহণ ও গণনা ডিজিটালাইজড করাসহ নানা পরামর্শ দিয়েছে জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে এক হাজার ৭৪৩ জনের মধ্যে ‘ব্যবস্থা নিলে সম্ভব’ বলে মনে করেন ৭৫ শতাংশ। ছাত্রসংগঠনগুলো একমত হলে অংশগ্রহণ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন সম্ভব বলে জানান ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে ৭৪ জন শিক্ষার্থী মতামত দেন বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি বাস্তবসম্মত নয়। আবার সহিংসতামুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে ‘নিশ্চিত নয়’ বলে মত দেয় ৩০ জন শিক্ষার্থী।

জরিপে নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের প্রশ্নে কয়েকটি বাছাই করা একাডেমিক ভবনের (কার্জন হল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা ভবন) পরামর্শ দেন ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট হল ও একাডেমিক ভবন দুই জায়গাতেই ভোটগ্রহণের পক্ষে সায় দিয়েছেন ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বড় একটি অংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় বলে জানান। বাকি ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে জানান।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ডাকসু নির্বাচনের ‘টাইমলাইন’ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। টাইমলাইন অনুসারে, আগামী মে নাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে। তবে কবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে তা স্পষ্ট করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

সেসময় বলা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৬/০৪/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading