এইমাত্র পাওয়া

স্কুলে যাওয়া শিশুর যত্ন

মায়ের কাছেই সন্তান সব থেকে বেশি নিরাপদ। মায়ের কাছ থেকে সন্তান পৃথিবীর যেখানেই পা রাখুক না কেন এমন শান্তি কোথাও পাবে না। আর ছোট শিশু হলে তো কোনো কথাই নেই। তাদের স্বাস্থ্যের জন্য যা ভাল সবটাই করেন একজন মা।

চারদিকের ধুলো, ধোঁয়া, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সহজেই শিশুকে আক্রমণ করে। চার পাশে দূষণ যে হারে বাড়ছে, তাতে বাচ্চাকে অসুখ ছাড়া রাখা অসম্ভব। কিন্তু কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ঘন ঘন অসুখে পড়ার হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায়।

বিশেষ করে বাচ্চা স্কুল থেকে ফেরার পরেই তার যত্ন দরকার। বাসায় আসলেই সাথে সাথে তার জামাকাপড় পাল্টে হাত-মুখ ধুইয়ে দিন।

গরমকালে বাচ্চার পা ভীষণ ঘামে। তাই পা খোলা জুতা পরান ও নিয়মিত পরিষ্কার করুন। পা-ঢাকা জুতা পরাতে হলে সুতির মোজা পরিয়ে জুতা পরান। নয়তো জুতায় ঘাম জমে পায়ে র‍্যাশ বের হবে।

শিশুর স্কুলের পানির বোতল, টিফিন বক্স, চামচ আলাদা রাখুন। খাবার দেয়ার সময়ে আগে তার অংশটা তার বাটিতে রেখে খেতে দিন। স্কুলে ভর্তির সময় থেকেই শেখান, ও অন্যদের সঙ্গে টিফিন ভাগ করে খেতে পারে, কিন্তু কারও চামচ, বোতল যেন ব্যবহার না করে।

মা-বাবা বা বাচ্চা যদি ডান হাতে আংটি পরে থাকে, তা হলে সেই আংটির ফাঁকে ময়লা জমে। নখ বড় করলেও ময়লা জমে তার ফাঁকে। সেই হাত দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ালে বা সে নিজে খেলে খাবারের সঙ্গে ময়লাও ঢোকে শিশুর শরীরে।

চিকিৎসকরা বলেন, যারা টিসু পেপার, কমোড শাওয়ার এবং খাওয়ার সময়ে সম্পূর্ণ কাঁটা-চামচের উপরে নির্ভরশীল, তাদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস চলতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো দেশে, যেখানে হাতে খাওয়াই স্বাভাবিক সেখানে এই অভ্যাস থেকে নানা রোগ ছড়ায়। তাই স্কুলে যাওয়া শিশুদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে মা বাবাকে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.