ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আবারও তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কঠোর কর্মসূচির পথে হাঁটতে যাচ্ছেন। বেতন কাঠামো, পদোন্নতির জটিলতা এবং পেশাগত উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অসন্তোষ এবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে রূপ নিতে যাচ্ছে। শিক্ষক নেতারা বলছেন, একাধিকবার সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের এই পথ বেছে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা দেয় যে, ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে তারা আগামী ৫ মে থেকে দেশব্যাপী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যদি ৪ মে’র মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তবে ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে ১৬ থেকে ২০ মে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। চূড়ান্তভাবে, ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন তারা।
সংগঠনটির দাবি অনুযায়ী, প্রথমত তারা কনসালটেশন কমিটির প্রস্তাবিত ১২তম গ্রেড সংস্কার করে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন, যেখানে সহকারী শিক্ষক পদকে ‘অ্যান্ট্রি’ পদ হিসেবে বিবেচনার দাবি তোলা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ১০ বছর এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে যে জটিলতা রয়েছে, তা দূর করার দাবি জানানো হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা ও দ্রুত পদোন্নতির দাবি জানানো হয়েছে। এই দাবিগুলোর পক্ষে সংগঠনটির ছয়জন নেতার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষক নেতা শামছুদ্দীন মাসুদ জানিয়েছেন, তারা বহুবার দাবি উত্থাপন করলেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাই এবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সব শিক্ষক সংগঠন এক হয়ে আওয়াজ তুললে সরকার নিশ্চয়ই আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো বিবেচনায় নেবে।” দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে যারা নিবেদিত, তাদের দাবিগুলো দ্রুত ও সহানুভূতির সঙ্গে মেনে নেওয়া প্রত্যাশা করছেন সকল সচেতন মহল।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০৪/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.