এইমাত্র পাওয়া

জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদের স্বপদে বহালের দাবি

ঢাকাঃ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ও হেনস্তার শিকার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে মাউশি (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) থেকে সরাসরি ইএফটিতে নাম অন্তর্ভুক্তকরণ ও দ্রুত স্বপদে বহালের দাবি জানিয়েছে পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোট। এ বিষয়ে আজ রবিবার জোটের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষা ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, অনতিবিলম্বে পদত্যাগকৃত ও হেনস্তার শিকার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে মাউশি থেকে সরাসরি ইএফটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত ও স্বপদে বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিল এবং এমপিও থেকে নাম কর্তন না করে ডিলিটকৃত ইনডেক্স পুনর্বহাল করতে হবে। সরকারি আদেশ অমান্য করায় ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষকদের জন্য কর্মস্থলের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের সমমানের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার বিস্ময়কর অভ্যুত্থানের পর দেশে এক নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একশ্রেণির সুবিধাভোগী শিক্ষকের প্ররোচনায় বহিরাগত স্বার্থান্বেষী মহল স্বীয় স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দকে অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ করায়। কোথাও অপসারণ, বরখাস্ত, কর্মস্থলে বাধা ও বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়।

প্রায় দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন হাজার শিক্ষক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন মৃত্যুবরণ করেছেন। পাঁচ শতাধিক আহত ও অসুস্থ হয়েছেন। মিথ্যা মামলার কবলে পড়ে অনেকে জেলহাজতে আছেন। তারা পদবঞ্চিত হয়ে বেতন-ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
পবিত্র রমজান মাসের রোজা পালনেও চরম কষ্ট করেছেন।

আরো বলা হয়, হেনস্তার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকগণের বেতন-ভাতা চালুর জন্য গত ১৪ জানুয়ারি ও ২০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এরপর ৭ এপ্রিল পুনর্বহাল ও ইএফটিতে বেতন-ভাতা চালু রাখার পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অথচ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক বারবার সরকারি আদেশ অমান্য করছেন।

তারা হেনস্তার শিকার শিক্ষকদের ইএফটিতে নাম যুক্ত করছেন না। প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ভাতাদি চালু করছে না। তাদের বিদ্যাপীঠে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে ওই সব শিক্ষক কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় সকল প্রকার নৈরাজ্য ও বৈষম্য দূর করে গণ-অভ্যুত্থানের নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৩/০৪/২০২৫ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading