এইমাত্র পাওয়া

ভাইভা ও ইনকোর্স নিয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

ঠাকুরগাঁওঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ‘ইনকোর্স ও ভাইভা নিয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চায় ইনকোর্সসংক্রান্ত সব কিছু কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠানো হোক। আমরা আলাদা ইনকোর্স ইউনিট গঠন করছি। কয়েক মাস পরীক্ষা করে দেখব ইনকোর্স রাখা প্রয়োজন আছে কি না।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আখতারুল ইসলাম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স আমরা দেখব। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কিভাবে আউটসোর্সিং, কুকিং, কারিগরি ও অন্যান্য কোর্সে যুক্ত হতে পারে, সেই পরিকল্পনা করছি। আমরা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা ভাবছি—বিতর্ক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে অর্থায়ন করব।’

শিক্ষকদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘একজন কলেজ শিক্ষক সমাজে অত্যন্ত সম্মানজনক ব্যক্তি। অথচ তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা করুণ। আমি যে কলেজে পড়েছি, সেখানে এমন পরিস্থিতি যে জেলার গণ্যমান্য প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে অনাগ্রহী।

তিনি উপাচার্য বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য আমাদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। পারস্পরিক দোষারোপ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্য রাজনৈতিক বিরোধ কমিয়ে আনা দরকার। একসঙ্গে কাজ করলে যে বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই, সেটাই বাস্তবে রূপ পাবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘একসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসত—ইরান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব থেকেও শিক্ষার্থীরা আসত। এখন আমরা সেই দেশগুলোতে কাজের সন্ধানে যাই।

অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, “আমাদের অবনতির মূল কারণ ‘টু মাস পলিটিক্স’ ও ‘গুড গভর্ন্যান্স’-এর অভাব। এই দুটি বিষয়ে পরিবর্তন আনতে পারলে দেশের ভাগ্য বদলে যাবে।”

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে আনার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, বড়লোকের ছেলে-মেয়েরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না। যারা পড়াশোনা করে তারা বিভিন্ন প্রাইভেট চাকরি কিংবা আয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকে। শুধু শিক্ষকের ডাকে তারা ক্লাসে ফিরে আসবে না। কিভাবে অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়, সে পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে।

উপাচার্য জানান, গভর্নিং বডিগুলো অনেক কলেজে রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যেন চর দখলের অবস্থা। এভাবে চলতে থাকলে গভর্নিং বডি রাখার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শিক্ষাব্যবস্থায় এমন অনিশ্চয়তা কাম্য নয়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০৪/২০২৫ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading