ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সানি সরকারের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং ওই ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদী কর্মসূচি চলাকালে হামলার শিকার হন সানি সরকার।
মানববন্ধনে সানির সহপাঠী মাসরুর ইসলাম বলেন, ‘ইসরায়েলের নির্মমতা ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আয়োজিত কর্মসূচিতে সানি বলেছিলেন, “রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করবেন না। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে আন্দোলন করুন।” সানি বলেছিলেন, “এই কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের পতাকা উড়ালে বহির্বিশ্বে এটা অনেক খারাপভাবে উপস্থাপন করা হবে।” এরপরই ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের কিছু ছেলেপেলে তাঁর ওপর হামলা করেছে। এতে সানি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁর গলায় পাড়া দেওয়া হয়েছে, তাঁর পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন।’
মাশরুর ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই সিনিয়র ভাই। তাঁরা আমাদের ক্যাম্পাসেরই একজন ছাত্রকে ক্যাম্পাসের বাইরের ছেলেপেলেকে দিয়ে পেটানোর সাহস পেলেন, সেটা আমরা জানতে চাচ্ছি।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদুল ইসলাম বলেন, ‘সানির ওপর ন্যক্কারজনক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলাকারী কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছেন, কিছু বের হয়ে গেছেন। আমরা ছবি, ফুটেজ, স্ক্রিনশটসহ আহত সানিকে নিয়ে গতকাল ভিসি স্যারের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের দাবি, সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।’
সানজিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ করব, এই সংগঠনের দেশের কোথাও যেন কোনো কার্যক্রম না হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহ্রীরের সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিলা তালুকদার বলেন, ‘সানিকে বাঁচাতে গিয়ে বা প্রতিরোধ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ‘মবের’ স্বীকার হয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিজের ক্যাম্পাসে নিজের বাক্স্বাধীনতা প্রকাশ করতে গিয়ে কীভাবে মবের শিকার হন। তাঁকে মেরে ফেললে কী আপনারা (প্রশাসন) বলতেন, হামলার শিকার হয়েছে। তাঁর ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৪/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.