এইমাত্র পাওয়া

কুড়িগ্রামে ধানখেতে বাংলাদেশের মানচিত্র তৈরি করলেন শিক্ষক

কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বেগুনি ধানের চারা দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র ফুটিয়ে তোলায় এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন এক শিক্ষক। পৌরসভার বাকরের হাট এলাকায় সহকারী শিক্ষক আবু জাফর সাদিক (৩৬) তাঁর বোরোখেতে এ মানচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বেগুনি রঙের ধান সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি জাত। এ ধানের নাম মূলত পার্পল রাইস বা বেগুনি ধান নামে পরিচিত। এই ধানগাছের পাতা ও কাণ্ডের রং বেগুনি হয়। তাই কৃষকদের কাছে এ জাতটি বেগুনি ধান নামে পরিচিত।

সরেজমিন দেখা যায়, পৌরসভার পূর্ব নাওডাঙ্গা এলাকায় ডাম্পিং স্টেশনের পাশে ওই শিক্ষকের মাস্টার সিডের প্রজেক্ট। সেখানে ব্রি ধান ১০৮ জাতের ধান ৩০ শতক জমিতে রোপণ করে তিনি এ দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলেছেন। এ দৃষ্টিনন্দন মানচিত্রটি রাস্তার সঙ্গে হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা এখানে এসে ভিড় করছেন।

আবু জাফর উলিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। চাকরির পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন তিনি। গত বছর ধানের খেতে জাতীয় পতাকা দৃশ্যায়ন করে জেলাজুড়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি।

এ শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমার দেখাদেখি সাধারণ কৃষকেরাও যেন কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ হয়। বেগুনি ধানের চারা দিয়ে তৈরি করা বাংলাদেশের মানচিত্রটি দেখার জন্য মানুষজন প্রতিদিনই আসছেন। কেউ দেখছেন, আবার কেউ ছবি তুলছেন, কেউ বা আবার বীজ নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’ দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে তিনি এ কাজ করেছেন বলে জানান। ভবিষ্যতে আরও ব্যতিক্রম কিছু দৃশ্যায়ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

মানচিত্র দেখতে আসা আব্দুল হাই, কফিল উদ্দিন, বাবুল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও উজ্জ্বল হোসেনসহ আরও অনেকে বলেন, ‘ধানের জমির মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র ফুটে ওঠায় দেখতে সুন্দর লাগছে। জমিতে মানচিত্র দৃশ্যায়ন হয়ে ফুটে ওঠায় আমাদের খুব ভালো লাগছে। এই ধরনের দৃশ্য সহজে চোখে পড়ে না। দেশের মানচিত্র দৃশ্যায়ন করে তিনি খুবই প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশারফ হোসেন বলেন, এলাকায় এটি একটি চমকপ্রদ ঘটনা। একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে তাঁর জমিতে বাংলাদেশের মানচিত্রের আদলে বেগুনি ধানের চারায় তা ফুটিয়ে তোলায় সত্যিই প্রশংসার কাজ করেছেন। ইতিপূর্বেও তিনি জাতীয় পতাকা ধানের চারা দিয়ে তৈরি করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৩/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading