ঢাকাঃ দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষাগন্তব্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত কোরিয়া, অর্থনীতির দিক থেকেও বেশ শক্তিশালী। জিডিপির ভিত্তিতে এটি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর একটি। পাশাপাশি, কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা সর্বজনস্বীকৃত এব মানসম্মত। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা ধরনের বৃত্তি প্রদান করে, যা উচ্চশিক্ষার জন্য কোরিয়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
আবাসন ও জীবনযাত্রা: কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা বেশ ভালো, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। তবে কেউ চাইলে ক্যাম্পাসের বাইরে একক রুমের ফ্ল্যাট, বোর্ডিং হাউস কিংবা পেয়িং গেস্ট হিসেবে কোরিয়ান পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পেতে পারেন। যদিও কোরিয়ায় ইংরেজির প্রচলন ব্যাপক নয়, তবে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তরুণেরা সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ: উচ্চশিক্ষার সোনালী সুযোগ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম সেরা বৃত্তি হলো গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ, যা কোরিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ নামেও পরিচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত এই পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপের আওতায় ১,৮২০টি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে, যেখানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির মাধ্যমে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের এই সুযোগ শিক্ষার্থীদের একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেবে, তেমনি কোরিয়ার উন্নত প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানারও সুযোগ সৃষ্টি করবে। তাই যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের গন্তব্য খুঁজছেন, তাদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া হতে পারে একটি আদর্শ বিকল্প।
বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা
সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি
টিউশন নেই
মিলবে মাসিক ভাতা
চিকিৎসা বিমা
গবেষণা ভাতা
বিমানে যাতায়তের টিকিট
ভাষা প্রশিক্ষণ
কোরিয়ার ভাষার দক্ষতার জন্য পুরস্কার এবং
শিক্ষা সমাপ্তির জন্য অনুদান।
বৃত্তির মেয়াদ
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: ৩ বছর
ডক্টরাল ডিগ্রি: ৪ বছর
গবেষণা কার্যক্রম: ৬ মাস
আবেদনের প্রক্রিয়া: শেষ বর্ষ ও ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরাও গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী ও তার মা–বাবা কোরিয়ার নাগরিক হতে পারবেন না। আবেদন করতে হবে নিজ দেশের কোরিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই স্নাতকের প্রত্যাশিত একটি প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২০/০৩/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.