ঢাকাঃ চার বছর আগে রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তিনি ওই শিশুকে আরবি পড়াতেন। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, ‘দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে। রায় ঘোষণার আগে তাকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম।
ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করেন উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার। জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তিনি।
পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.