এইমাত্র পাওয়া

অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালার কারনে এমপিও বঞ্চিত হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ‘স্বীকৃত’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্তির একমাত্র মানদণ্ড ধরে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ডিগ্রি ও কারিগরি) একযোগে এমপিও ভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির মাধ্যমে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও বঞ্চিত করেছে। অথচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০-২৫ বছর ধরে এমপিওবিহীন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলসভাবে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন এবং জাতীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

বুধবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ তম দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেছেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এক দফা দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করে আসছেন। শিক্ষকতা করে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখলেও তারা সরকার থেকে বেতন পাচ্ছেন না৷ শিক্ষকতা করে বেতন না পাওয়ায় তাদের পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করা কষ্টকর। দীর্ঘদিন ধরে তারা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো সরকারই আন্তরিকভাবে কাজ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

রাজশাহী থেকে আসা রাসেল সরকার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করে বেতন পাচ্ছি না। নিজের পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে গেছি। এখন আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা ১১তম দিনের মতো অবস্থান করছি। এখন আমাদের চাওয়া সরকার যেন আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেয়। আমরা যেন রাজপথ থেকে ঘরে ফিরতে পারি।

সিলেট থেকে আসা মেহেদী হক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি, শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। আমরা যৌক্তিক দাবি জানাচ্ছি কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি রয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তি করা হোক।

এর আগে, গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে যেতে বলেন। এতে রাজি হয়ে নন এমপিও শিক্ষকদের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশের সঙ্গে সচিবালয়ে যান। পরে তাদের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করতে হবে। তারা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে। এ দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ছাড়বেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এবং শেখ পরিবারের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিলো সেগুলো এমপিওভুক্ত করেছেন, বলেন তারা।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৫/০৩/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.