এইমাত্র পাওয়া

গভীর রাতে শেকৃবিতে র‍্যাগিং, ঘটনাস্থলে উপাচার্য উপস্থিত

ঢাকাঃ গভীর রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভুক্তভোগী ২০২৩-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে ফোনকলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একাংশ ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের একাংশকে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিংয়ে র‍্যাগিং শুরু করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শকে ফোন দেন। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ না করায় উপাচার্যকে অবগত করেন। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবুল বাশার।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেকৃবি শাখার আহবায়ক আসাদুল্লাহ বলেন, জুনিয়ররা নির্দিষ্ট দলের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে না গেলে আমাদের কাছে র‍্যাগিং এবং সিট বাতিলের হুমকির অভিযোগ আসছে। ২৩তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী এসব র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় যুক্ত। গতকালও রাত ৪টা পর্যন্ত এধরনের র‍্যাগিং চলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ জানান, শিক্ষার্থীরা আমাকে ফোন করে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষা না করে ট্রেজারার মহোদয়কে জানিয়ে দ্রুত বের হয়ে আসি। নজরুল হলে এসে দেখি, ৮২ ও ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাত ২টায় মিটিং করছে। আমি তাদের রুমে পাঠিয়ে দিই, এরপর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলে গিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা কমিটি রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র‍্যাগিং কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না, এর বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ র‍্যাগিংমুক্ত রাখতে চাই।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৩/২০২৫ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.