এইমাত্র পাওয়া

শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো নিশ্চিতের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ও সামাজিক মার্যাদা নিশ্চিত করা, দ্রুততম সময়ে সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা সচল করা, বিনা মূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক যারা বাজারে বিক্রি করছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনাসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। 

বছরের দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও ৭ কোটি বই এখনো ছাপা হয়নি। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের ২৩ কোটি ৬৭ লাখ বই ছাপা হলেও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ বই। পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের এ বিলম্বের প্রতিকার এবং পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিসহ ৭ দফা দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি। 

সংগঠনটির দাবিগুলো হলো—দ্রুততম সময়ে সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা সচল করা, বিনা মূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক যারা বাজারে বিক্রি করছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা, সেক্যুলার ও বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতনকাঠামো ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।

এ ছাড়া সারা দেশে নতুন নতুন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজ নির্মাণ, বিগত সরকারের আমলে শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, কারিকুলাম নিয়ে অপব্যয় ও শিক্ষা ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনা এবং শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ ভাগ বরাদ্দ করার দাবিতে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ৭ দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, সবাই শুধু শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে পড়ে আছে, কেউ শিক্ষানীতি নিয়ে কথা বলছে না। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শুধু কারিকুলাম নিয়ে কাজ না করে শিক্ষানীতি পরিবর্তনে মনোযোগী হোন।

মুক্তা বাড়ৈ আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পাঠ্যবইকে নতুন করে সাজানো হয়নি। শুধু পুরোনো বইকে কিছুটা পরিমার্জন করে তৈরি করে দিয়েছে। পরিমার্জন কমিটি নিয়েও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আপত্তিতে যোগ্যদের বাদ দেওয়া হয়। শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে যাঁরা সবচেয়ে বেশি কথা বলেছেন, অভ্যুত্থানের এ সরকার তাঁদেরই বাদ দিয়েছে।

ছাত্র ফ্রন্টের ৭ দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. কাল বিলম্ব নয়, দ্রুততম সময়ে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে হবে; শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করতে হবে।

২. বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক যারা বাজারে বিক্রি করছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৩. সাম্প্রদায়িক-কুপমণ্ডুক শিক্ষা নয়; সেক্যুলার ও বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ও সামাজিক মার্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সারাদেশে নতুন নতুন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজ নির্মাণ করতে হবে।

৬. বিগত সরকারের আমলে শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, কারিকুলাম নিয়ে অপব্যয় ও শিক্ষা ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৭. শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৮/০২/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.