এইমাত্র পাওয়া

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুয়েট, হল ত্যাগের নির্দেশ

খুলনাঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারির সৃষ্ট ঘটনার জেরে আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৯৯তম সিন্ডিকেট সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ।

কুয়েটের জনসংযোগ বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আগামীকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে তালা ভেঙে নিজ বাসভবনে প্রবেশ করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েটে) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ। খবর পেয়ে ফের তালা ঝুলিয়ে দিতে গিয়ে শিক্ষকদের অনুরোধে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিলেও গতকাল সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তালা ভেঙে ভিসি বাসভবনে প্রবেশ করেন বলে শিক্ষার্থীরা খবর পান। পরে কিছু শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে সত্যতা পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে সেখানে গিয়ে মাইকে ঘোষণা দেন যে, ‘ভেতরে কেউ থাকলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে আসুন’।

এসময় শিক্ষকরা বেরিয়ে আসেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তারা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং বাসভবনে তালা না মারার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের অনুরোধ মেনে সেখান থেকে তালা না মেরেই চলে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা তালা মারা থেকে বিরত থাকলেও ভিসিকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সেই সাথে ভিসি গঠিত তদন্ত কমিটিও তারা মানেন না।

কুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, মাসুদ স্যার আমাদের ভিসি না। আমরা মাসুদ স্যারকে ভিসি হিসেবে বর্জন করেছি। যেহেতু আমরা ভিসিকে বর্জন করেছি, সেহেতু এই বর্জনকৃত ভিসির গঠিত তদন্ত কমিটিকে আমরা কেউ গ্রহণ করছি না। এখানে ভিসি তার আস্থাভাজন, আমাদের আন্দোলনে বিতর্কিত শিক্ষকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

এই তদন্ত কমিটিকে আমরা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি এবং এই কমিটির অধীনে প্রকাশিত প্রতিবেদন, আমরা কখনোই মেনে নেব না।’

গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৫/০২/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.