ঢাকাঃ ৫ লাখের মতো আসন খালি থাকলেও এখন পর্যন্ত স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি অনেক শিক্ষার্থী। নির্দিষ্ট স্কুলকেন্দ্রিক আবেদন করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, আসন খালি থাকলে অনুমতি নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে স্কুলগুলো। তবে দেশের সব স্কুল একই মানে আনার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষা গবেষকেরা।
প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ হয় গত ১৭ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয়ভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে অনলাইনে হয় লটারি কার্যক্রম।
এবার সরকারি-বেসরকারি স্কুলে আসন ছিল ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৯টি। বিপরীতে ভর্তির আবেদন করে ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯। অপেক্ষমাণ তালিকাসহ নির্বাচিত হয় ৬ লাখ ১২ হাজার ৮১৮ শিক্ষার্থী। আসন খালি থাকার পরও ভর্তির সুযোগ পায়নি অনেক শিক্ষার্থী।
অভিভাবকেরা বলছেন, আসন খালি থাকার পরও অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিপাত জরুরি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এখনও আসন খালি আছে পাঁচ লাখের মতো। তাই সবাই ভর্তি হতে পারবে। মাউশির অনুমোদন নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে আসন খালি থাকা স্কুল।
এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলছেন, দেশে মানসম্মত স্কুল কম থাকায় সবাই নির্দিষ্ট কিছু স্কুল বেছে নেয়। সব স্কুলকে এক মানে নিয়ে আসতে পারলে এ সংকট দূর হবে।
এদিকে স্কুলে ভর্তিতে কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে সরাসরি অভিযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মাউশি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৪/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.