ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর এবং অস্থায়ী আবাসন ভাতার দাবিতে গণ-অনশনে বসেছেন। এই অনশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো একাত্মতা ঘোষণা করেছে।
আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের গণ-অনশন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে অনশনস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবং অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্রিক যে দাবিগুলো তা শতভাগ যৌক্তিক। শিক্ষক সমিতির অন্যতম দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিষয়গুলো দেখা। শিক্ষার্থীদের সকল দাবির সাথে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি।’তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাদের সন্তান তুল্য।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়ার বিষয়টি ইউজিসি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের প্রশাসন চাইলেই সবকিছু হবে না এখানে প্রক্রিয়াগত কিছু বিষয় আছে। আমরা সব সময় তোমাদের সাথে আছি এবং তোমাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। তোমরা আর এভাবে অনশনে বসে থেকো না।
‘কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে জবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই সংগঠন থেকে সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসনসহ নানা দাবি জানিয়ে এসেছি। এরপর সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার জন্য আন্দোলনও হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার বিষয়টি ধীরগতিতে আগায়। ২ মাসের বেশি হয়ে গেছে। আজ শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণ-অনশন পালন করছে।
আমরা ছাত্র শিবির থেকে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করছি। ভিসি স্যারকেও এই দাবি মেনে নেওয়ার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছি।’
জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা তিন দাবিতে গণ-অনশনে বসেছি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ-অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
সেনাবাহিনী কাজ হস্তান্তরের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে কাজ দিতে ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছি। কাজ চলছে। আমাদের একটু সময় দিতে হবে।’
সময় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, ‘আমি কোনো সময় দিতে পারব না। বললাম তিন দিনে, পরে লেগে গেল পাঁচ দিন। তখন আমার কথার কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। শুধু বলব আমরা কাজ করছি।’
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.