চট্টগ্রামঃ পৌষ্য কোটা বাতিল, জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছয় শিক্ষার্থী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। অনশনে বসা ৬ শিক্ষার্থী হলো জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো শিক্ষার্থী মো. শুভ হোসেন, সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, রশিদ দিনার, তানিম মুশফিক, রিয়াদ, সাইরিব রহমান সুপ্ত।
কর্মসূচিতে অনশনরত বাংলা বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শুভ হোসেন বলেন, পৌষ্যকোটা সম্পূর্ণ একটি অযৌক্তিক কোটা। এ কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। জুলাই আন্দোলনে আহতরা এখনও কাতরাচ্ছে। কিন্তু হত্যাকারীদের কোনো উল্লেখযোগ্য বিচার হয়নি। ৯ দফা দাবিতে আমরা অনশন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
অনশনরত ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাইরিব রহমান সুপ্ত বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থান আহত-নিহতদের বিচার চাই। পৌষ্য কোটাসহ ৯ দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছি। যতদিন এসব দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততদিন এ অনশন চলবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, শহিদ হৃদয় তরুয়া এবং শহিদ ফরহাদের রক্তের ওপর বসে আছে প্রশাসন তাদের কাছে খুনিদের বিচার চাইতে হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা হত্যা হামলার সঙ্গে জড়িত তারা বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা দিচ্ছে। এসব হামলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ৫৭ জনকে বহিষ্কার করেছে সেখানে চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। চবির সব শিক্ষার্থী পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে থাকার পরেও পোষ্য কোটা এখনো বহাল রয়েছে। আমরা কোনো ধরনের কোটা আর দেখতে চাই না।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের এসব দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করছি। শিক্ষার্থীরা যে এভাবে অনশন করছে সেটা আমাদের জন্য ব্যর্থতা। আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি। যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান হামলার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের স্থান মাটিতে নয়, তোমাদের স্থান আমাদের বুকে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে আলোচনায় আসার আহ্বান জানান এবং জুলাইয়ে অপরাধীদের বিচারের জন্য এক সপ্তাহ সময়ের আশ্বাস দেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.