ঢাকাঃ গত বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনকে ব্যঙ্গ করে ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী ও ভোটদান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ প্ল্যাটফরমের আয়োজনে এই ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী ও ভোট প্রদান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ডামি নির্বাচন প্রদর্শনী ও ভোট প্রদান প্রতিযোগিতায় কাফনের কাপড় পরে একজনকে ভোট দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি এক বছরের শিশুকেও ভোট দিতে দেখা যায়।
আয়োজকরা বলেন, গত নির্বাচনে মৃত মানুষকে জীবিত দেখিয়েও যে ভোট প্রদান করা হয়েছে, সেটিকেই এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া এতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার আবদুল আউয়ালের সাজে একজনকে ও কয়েকজনকে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দেখানো হয়।
এক মিনিটে কে কতগুলো ভোট দিতে পারে সেটা নিয়েই এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘যত ভোট, তত নোট’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেখা যায়।
এ সময় ‘ভোট সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে’; ‘মধ্যরাতের ভোট’; ‘ডামি নির্বাচন’; ‘দশটা হোন্ডা, দশটা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা’; ‘মধ্যরাতের ভোট’; ‘দ্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী’; ‘আপনার বাবার ভোটও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাবা তো মৃত’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
ভোট দিতে আসা কাফনের কাপড় পরিহিত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যখন আমি বেঁচে ছিলাম তখন আমি ভোট দিতে পারিনি। আমার মৃত্যুর পরও আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। তাই আজকে কবর থেকে আজরাইলকে উপেক্ষা করে ভোট দিতে এসেছি।
বিগত ১৬ বছর যারা মৃত ছিল বা বিদেশে ছিল তাদের ভোটও হয়ে গেছে বলে জানানো হতো। তাই, আজকে আমি এই অবস্থায় এসে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোছাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর যাবৎ সব ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। নির্বাচনের নামে তামাশা, নিজেরাই প্রধান দল আবার তারাই বিরোধী দল হিসেবে অংশ নিত। যেখানে মৃত ব্যক্তি এসে ভোট প্রদান করেছিল।
এ জন্য আমরা আজকে ডামি ভোট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এখানে অনেকে প্রতীকী ভোট দিয়েছে আমরাও তাদের ডামি টাকার নোট দিয়েছি। এখানে অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভাইয়েরাও ছিলেন, যারা গতবার ভোট দিতে পারেননি। আমরা তাদের আজকে সে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।’
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৭/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.