যশোরঃ কপোতাক্ষের ভাঙনের মুখে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রঘুনাথনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের একটি অংশ। শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন অতিবৃষ্টির কারণে নদীর পাড় ভেঙে এ ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত রঘুনাথনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে লাগোয়া রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠান দুটিতে লেখাপড়া করছে প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও রাস্তায় ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির মাঠের এক প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনার, ফুলের বাগান ও নির্মাণাধীন গ্রামীণ জাদুঘরের নিচের মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ফুল বাগানের কয়েকটি পিলার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিকট পর্যন্ত চলে এসেছে ভাঙন। যেকোনো সময়ে ভেঙে পড়তে পারে এসব স্থাপনা। গাছে লাল রশি বেঁধে ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বল্লা-নারায়ঙ্গালি গ্রাম থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার নদী সংলগ্ন একটি পথে তৈরি হয়েছে গর্ত। বাসের সাঁকো বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হচ্ছে এ পথে।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, আমিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন—ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠটি শতবর্ষ পার করেছে। এবারের বৃষ্টিতে নদীর পাড় ভেঙে বিদ্যালয়ের কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদীর পাড় বাঁধতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে, ভাঙন আরও বেড়ে যাবে।
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন বলেন, আমাদের আসা-যাওয়ার পথটিতে একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আপাতত বাসের সাঁকো বানিয়ে যাওয়া-আসা করছি। আমাদের খেলার মাঠটিও ভেঙে যাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক এস, এম হাসানুল বান্না জানান, স্কুলের মাঠের ভাঙন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরাও খুবই উদ্বিগ্ন। যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সিমেন্টের ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে নদীর পাড় বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঝিকরগাছা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মো: জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেন, নদী ভাঙনের কথা শুনেছি ও ছবি দেখেছি। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহৃত করা হয়েছে। তিনি দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১২/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.