সিরাজগঞ্জঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত। দীর্ঘদিন এসব প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৮৫টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছে ১ হাজার ৯৭ জন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক থাকার কথা ১ হাজার ১৯২ জন।
তার মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে ৯৩টি। এদিকে ৪৩টি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করলেও কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধানের সঙ্গে মতানৈক্যর কারণে মেনে নিতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ওই পদগুলো শূন্য থাকায় পাঠদানসহ দাপ্তরিক নানা কাজে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি সার্বিক শিক্ষায় বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, পদশূন্য থাকায় প্রধান শিক্ষকের কাজ অন্য শিক্ষককে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে করতে হচ্ছে। দায়িত্বের কারণে পাঠদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়।
তারা আরো জানায়, নিয়মিত একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে দাপ্তরিক কাজ ও বিদ্যালয় পরিচালনা করতে পারেন, সে অনুযায়ী একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
একাধিক অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ভারপ্রাপ্তরা অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না। অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল-আমিন সরকার জানান, তার বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক আছেন তিনজন। পাঠদানের পাশাপাশি অফিসের কাজসহ তাকে সব কিছু সামলাতে হচ্ছে। এতে অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তাকে।
রায়গঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বলেন, উপজেলার শূন্য পোস্টে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুনর রশিদ জানান, প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি ফাইল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রকল্প শিক্ষকদের মামলা থাকার কারণে কাজটি বন্ধ আছে। মামলার সিদ্ধান্ত হলে কার্যক্রম পরিচালা করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.