এইমাত্র পাওয়া

পীরগাছার সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করলো শিক্ষা অফিস

সুভাষ বিশ্বাস, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর একান্ত আস্তাভাজন রংপুরের পীরগাছা নটাবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির একই বিদ্যালয়ের  নৈশ প্রহরী মোঃ নুরুল ইসলাম কে ২০২২ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয় থেকে মারধর করে বের করে দিয়ে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে এই পদে নতুন নিয়োগ দেন। ভুক্তভোগীর মাউশি তে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২১ নভেম্বর বিকালে তদন্ত করেন রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো এনায়েত হোসেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান তবে দুই পক্ষেরই সঠিক কাগজ পত্রের কমতি থাকায় কিছু কাগজ পত্র চাওয়া হয়েছে। কাগজপত্র পেলেই তদন্ত প্রতিবেদন মাউশিতে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে শিক্ষা অফিস।

এ নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে ‘পীরগাছায় প্রধান শিক্ষকের চরম জালিয়াতি: ২৩ বছর ধরে থাকা নৈশ প্রহরী বদলে নতুন নিয়োগ‘ শিরোনামে শিক্ষাবার্তা’য় সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

জানা গেছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিনা বেতনে (নন-এমপিও) পদে স্কুলটিতে দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর কর্মরত ছিলেন নৈশ প্রহরী মোঃ নুরুল ইসলাম। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি থেকে তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। তাকে বের করে দেন পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর একান্ত আস্তাভাজন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির সরকার ও তার লোকজন। কারণ হিসেবে তাকে বলা হয় তৎকালীন সময়ে তার নিয়োগ অবৈধ। তাকে বের করে দেওয়ার পর ২০২৩ সালে নৈশ প্রহরী পদে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয় সবুজ মিয়া নামের ব্যক্তিকে এবং এমপিওভুক্ত করানো হয়।

প্রধান শিক্ষক তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য নানাভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানিয়ে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক সাইফুর রহমান। শিক্ষকদের ভয় ভীতি দেখানোসহ এই এলাকার একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত একটি মাদ্রাসাকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখিয়ে এবং সহকারী শিক্ষকদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক।

এদিকে বঞ্চিত নৈশ প্রহরী নুরুল ইসলাম ৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অবৈধভাবে সবুজ মিয়াকে নিয়োগ প্রদান করে করা এমপিওভুক্তি বাতিল এবং তাকে এমপিওভুক্তির জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিত গত ২১ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই আদেশেই তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিস। 

 এ বিষয়ে রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: এনায়েত হোসেন শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করা হচ্ছে উভয় পক্ষের কাছেই প্রয়োজনীয় কাগজের কমতি ছিল তা চাওয়া হয়েছে, পেলেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/১১/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.