এইমাত্র পাওয়া

সুবিধাবাদী নেতাকে মন থেকে ডিলিট করুন : রাব্বানী

 

নিউজ ডেস্ক।। কর্মীরা যেখানে বিপদে, একান্ত প্রয়োজনে যে নেতা নিরাপদ থেকেও খোঁজ-খবর নিচ্ছে না, ফোন ধরছে না, সামর্থ্য থাকার পরও সহায়তা করছে না, এমন তথাকথিত সুবিধাবাদী নেতাকে মন থেকে ডিলিট করার আহ্বান জানিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সুবিধাবাদী নেতাদের প্রতি এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে এ পোস্ট করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কর্মীর বিপদে, একান্ত প্রয়োজনে যে নেতা নিরাপদ থেকেও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না, ফোন ধরছেন না, সামর্থ্য থাকার পরও সহায়তা করছেন না, সে কখনো ‘নেতা’ না, কেবল চেয়ারধারী বা পদধারী ছিলেন।

পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, পদ ও চেয়ার সর্বস্ব তথাকথিত সুবিধাবাদী ‘নেতা’কে মন থেকে ‘ডিলিট’ করুন। এই কঠিন সময়ে সাধ্যমতো পাশে থাকা আন্তরিক ‘নেতৃত্ব’কে অন্তরে ধারণ করুন। সেই আগামীর নেতা।

এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

স্ট্যাটাসে রাব্বানী লিখেন, ‘আওয়ামী লীগকে এটা নিশ্চিতভাবেই উপলব্ধি করতে হবে, উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও ভালো কাজের পাশাপাশি দীর্ঘদিন সরকারি ক্ষমতার বলয়ে থেকে তাদের শরীরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হ্রাস, জন ও কর্মীবিচ্ছিন্নতার বিষফোড়া ও ক্ষত দৃশ্যমান। আওয়ামী লীগকে এককালে মন থেকে ভালোবেসে সমর্থন করা মানুষও তাই সংক্রমণ শঙ্কায় কাছে ঘেঁষতে ক্ষাণিক নিরুৎসাহিত ও দ্বিধান্বিত!

এই মানুষগুলোই যখন দেখবে, আওয়ামী লীগ আত্মোপলব্ধি করে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে শরীরের সেই বিষফোড়া আর ক্ষতগুলো একে একে চিহ্নিত করে প্রতিনিয়ত ড্রেসিং করছে, কার্যকর মেডিসিন প্রয়োগ করছে, নিয়মিত যত্ন নিচ্ছে এবং ধীরে ধীরে ক্ষত সেরে উঠছে তখন তারাই ফের সাহস করে উৎসাহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে আবার কাছে আসবে, পাশে থাকবে এবং প্রতিনিয়ত পাল্লা ভারী হবে!

স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, মনে রাখতে হবে, আত্মশুদ্ধির কাজে কোনো নেতা নেই, নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। নিজের বিবেকই নেতা, বিবেকের তাড়নাতেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সম্মিলিতভাবে দলের ভেতরে থাকা দুর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী ও অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে, জন ও কর্মী বিচ্ছিন্ন নেতৃত্বকে অবশ্যই ‘আলবিদা’ জানাতে হবে।

রাব্বানী আরও লিখেন, নিজেদের ভুলগুলো অনুধাবন, অনুশোচনা ও পর্যায়ক্রমে তা শুদ্ধ করার প্রচেষ্টা দৃশ্যমান না হলে কেবল বিরোধী গোষ্ঠীর শত-সহস্র অন্যায়, ভুল, ব্যর্থতার গল্প বলে, কেবল তুলনামূলক মন্দের ভালো হয়ে, এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে না, প্রত্যাশিত জনসমর্থন মিলবে না, তৃণমূল নেতাকর্মীর মনোবল ফিরবে না, জাগরণ ঘটবে না।

যদি এখনো না বোঝেন, সমস্যা কোথায় বা জেনেবুঝেও সমাধানের চেষ্টা না করে সজ্ঞানে এড়িয়ে যান- তাহলে প্রত্যাশিত সমাধান সুদূর পরাহত!

শিক্ষা বার্তা  /এ/২০/১১/২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.