খুলনাঃ খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। দুই ঘণ্টার অধিক সময় ধরে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের জন্য আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সাত রাস্তার মোড়ে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশ তাঁদের ওই জায়গা থেকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিলে হালকা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাত রাস্তার মোড়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বেলা ১টার পর সাত রাস্তার মোড় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দখলে চলে যায়। বেলা ২টার দিকে নগরীর ময়লাপোতা থেকে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের চারপাশ থেকে ঘিরে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা ধাওয়া দেন। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা সংঘর্ষ এবং পুলিশের মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে সাত রাস্তার মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় কেডিএ অ্যাভিনিউসহ ওই এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। সংঘর্ষ ময়লাপোতা মোড় থেকে সুন্দরবন কলেজ মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
দুই পক্ষের সংঘর্ষকালে পুলিশ কনস্টেবল মেহেদি, সাংবাদিক বশির ও শিক্ষার্থীসহ ২৫–৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফাতেমা তুজ জোহরা, আরশা সিদ্দিকা ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহ সোহাগসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে। তবে সকাল থেকেই পুলিশ বিভিন্ন অলিগলি থেকে শিক্ষার্থীদের আটক শুরু করে। একটি সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী শতাধিক আটক হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিকেল পৌনে ৪টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কত রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। আটকের ব্যাপারেও পরে জানাতে পারব।’
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩১/০৭/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.