ঢাকাঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা দিলে মাঝপথে হাইকোর্ট এলাকায় শিশু একাডেমির পর তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
বুধবার সকাল ১০টার পর এই ঘটনা ঘটে।
সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম-খুনের প্রতিবাদ; জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি ও ছাত্রসমাজের ৯ দফা আদায়ের লক্ষ্যে দেশের সকল আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে আজ বুধবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দোয়েল চত্বর হয়ে শিশু একাডেমি পার হলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এই মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাধার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী নাহিদ ও আরিফকে আটক করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আটক দুই শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।
সেখানে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আটক দুই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন। পরে ঢাবির ফলিত রসায়ন বিভাগের দুই শিক্ষক অধ্যাপক কামরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান হাইকোর্ট চত্বরের দিকে এগিয়ে যান তাদের ছাড়িয়ে নিতে। পরে আটক দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুই শিক্ষার্থীকে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি থেকে আটক করা হয়। আমরা তাদের ছাড়িয়ে আনতে গিয়েছিলাম, পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে।’ তিনি জানান, দুজনকে আটক করা হয় ১২টা ৪৫ মিনিটের এবং ১টা ৪০ এ ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম সরকার, সাবেক আহ্বায়ক এ বি এম ওবায়দুল ইসলামসহ সাদা দলের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/৩১/০৭/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.