অভিভাবকদের নিয়ে সড়কে নামলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

সিলেটঃ সমন্বয়কদের ‘জিম্মি’ করে বিবৃতি আদায়ের প্রতিবাদ, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের গুম ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ছাত্র-জনতার হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিলেটের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যায়।

জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শাবিপ্রবির মূল ফটকের সামনের গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

বিক্ষোভকালে তারা ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব দাও’, ‘গুলি করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘আমার ভাই শহীদ কেন, প্রশাসন জবাব দাও’, ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার’, ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘খুনি তোদের রক্ষা নাই, খুন হয়েছে আমার ভাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে আগে থেকে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় গেইটে ভিতরের দিকে পুলিশ, বিজিবি, ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা অবস্থান করছিল।

আন্দোলনরত শাবি শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “আমরা খুনির কাছে খুনের বিচার চাওয়ার জন্য এখানে আসিনি। জহির রায়হান লিখেছিলেন- ‘সাহেব কারাগার বড় করেন, আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো।’ সরকার তোমাকে বলি, সারা বাংলাদেশ কারাগার বানিয়ে ফেলো। নয়তো জায়গা দিতে পারবা না।”

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণহত্যার হিড়িক চলছে। নির্বিচারে গুলি করছে। আমাদের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এগুলো বন্ধ না হয়, যদি ৯ দফা বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে ছাত্র সমাজে এক দফা দিবে।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অভিভাবক শরীফা বেগম সমকালকে বলেন, ‘বাচ্চারা আন্দোলন করছে। তাদের এভাবে দেখে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানানোর জন্য আমি মিছিলে এসেছি। বাচ্চাদের পাখির মতো গুলি করে মারা হলো। এটা বেদনাদায়ক। সরকারের উচিত তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া এবং দেশ পরিচালনার জন্য ন্যায্য একটা ব্যবস্থা করা।’

মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে তাদের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৭/২০২৪