নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মধু পেতে গেলে মৌমাছির কামড় সহ্য করতে হয়। গোলাপ আহরণ করতে গেলে আঙুলে কাঁটা ফোটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। তেমনি জান্নাত পেতে গেলে কাঁটা বিছানো রাস্তায় চলতে হবে। বিলাসিতাকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হবে।
সব ধরনের রিয়া ও অহংকার পায়ের তলে দাবাতে হবে। আল্লাহর ওয়াস্তে সব কষ্ট হাসিমুখে বরণ করে নিতে হবে।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি ধারণা করেছ জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ তোমাদের ওপর এখনো তাদের মতো অবস্থা আসেনি, যারা তোমাদের আগে বিগত হয়েছে। নানা ধরনের বিপদ ও দুঃখ-কষ্ট তাদের স্পর্শ করেছিল এবং তারা ভীত-কম্পিত হয়েছিল।
অবশেষে রাসুল ও তার সাথি মুমিনরা বলতে বাধ্য হয়েছিল যে কখন আল্লাহর সাহায্য আসবে? জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতীব নিকটবর্তী।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২১৪)
নবী ও তাঁদের সাথিদের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে পাপে নিমজ্জিত পৃথিবীতে আমাদের মতো গুনাহগারদের আরো কত মহাপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে? হাদিসের ভাষ্য মতে, দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, দুনিয়া মুমিনদের জন্য জেলখানা এবং কাফিরদের জন্য জান্নাত। (মুসলিম, হাদিস : ৭৩০৭)
আলোচ্য হাদিসের ব্যাখ্যা হলো পরকালের অফুরন্ত সুখ বা দুঃখের বিবেচনায় দুনিয়ার জীবন মানুষের জন্য কারাগার বা জান্নাত।
দুনিয়ায় বহু লড়াই-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর পরকালে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে এবং সুখময় জান্নাত পাওয়া যাবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ! তুমি তোমার রবের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত কঠোর সাধনা করতে থাকো। পরে তুমি তাঁর সাক্ষাৎ লাভ করবে।’ (সুরা : ইনশিকাক, আয়াত : ৬)
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৪/০৭/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.