নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সকল শূন্য পদে নিয়োগ, চাকরিতে নিয়োগে ঘুষ, দুর্নীতি, দলীয়করণ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
সোমবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ এবং সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সমাজের অনগ্রসর ও পিছিয়ে থাকা অংশকে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য কোটা বা আসন সংরক্ষণ সামাজিক দায়িত্বেরই অংশ। সে দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের আদিবাসী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নারী, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য কোটার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তারও একটা টার্গেট সময় থাকা প্রয়োজন, এটা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারেনা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে তীব্র বেকারত্ব, সরকারি শূন্য পদে বছরের পর বছর নিয়োগ না দেওয়া এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করার ফলে শিক্ষা শেষে কাজ না পাওয়ায় ছাত্র সমাজের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের তৃতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ নাতি-পুতি পর্যন্ত কোটা সংরক্ষণ এই অসন্তোষকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষা শেষে কাজের অধিকার, কোটার নামে অযৌক্তিক সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের আবেগ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। কিন্তু পুঁজিবাদী শোষণমূলক ব্যবস্থা সকল নাগরিকের কর্মসংস্থানসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। তাই বেকার সমস্যা সমাধানের যথার্থ উদ্যোগ না নিয়ে এই তিন বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে শাসকশ্রেণি নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করার অপচেষ্টা দুঃখজনক। এখন এর সঙ্গে আদালতকেও যুক্ত করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলা হয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতারা কোটা নিয়ে সরকার প্রধানসহ মন্ত্রীদের বিতর্কিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও আবেগকে বিবেচনায় নিয়ে কোটা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৮/০৭/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.