এইমাত্র পাওয়া

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার হলেন শেকৃবি শিক্ষক

ঢাকা: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন এবং মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম আমেরিকার টাফটস ইউনিভার্সিটির কামিংস স্কুল অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এর ভিজিটিং স্কলার হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

অধ্যাপক সাইফুল ভিজিটিং স্কলার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণীর চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দুইটি সুপ্রসিদ্ধ স্থাপনা হেনরি অ্যান্ড লইস ফস্টার হাসপাতাল ও টাফটস এট টেক কমিউনিটি ভেটেরিনারি ক্লিনিকে আগামী ০৮-২৩ জুলাই অ্যাডভান্সড ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস, কেমোথেরাপি ও ক্যান্সার ম্যানেজমেন্ট, রুটিন ও অ্যাডভান্সড ডায়াগনস্টিক টেস্ট, পোষাপ্রাণীর ডেন্টিস্ট্রি এবং ভেটেরিনারি প্র্যাকটিসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন, সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং মতবিনিময় করবেন।

পাশাপাশি তিনি কামিংস স্কুল অফ ভেটেরিনারি মেডিসিনের ডিন, হেনরি অ্যান্ড লইস ফস্টার হাসপাতালের পরিচালক এবং টাফটস এট টেক কমিউনিটি ভেটেরিনারি ক্লিনিকের পরিচালকের সঙ্গে একাধিক সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের প্রাণিচিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণায় এক অনন্য পরিচিত মুখ অধ্যাপক ড. কে. বি. এম. সাইফুল ইসলাম (মিরাজ)। তিনি একাধারে শিক্ষক, গবেষক এবং চিকিৎসক। নিজ মেধা এবং পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পর্যন্ত ২০বার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার, বৃত্তি, স্বীকৃতি ও সম্মান অর্জন করেছেন। পাশাপাশি নিজ দেশের সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা থেকে বৃত্তি ও সম্মাননা পেয়েছেন ১০বার। প্রথম বাংলাদেশি অ্যাকাডেমিক ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে তিনি ২০১৯ সালে জাপানের ইম্পেরিয়াল শ্রেণিভুক্ত কৃষি ও প্রাণিচিকিৎসা শিক্ষা প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় হক্কাইডো ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ অ্যাগ্রিকালচার ডিভিশন অফ ফান্ডামেন্টাল এগ্রিসায়েন্স রিসার্চ গ্রুপের অধীনস্থ গবেষণাগারে ভিজিটিং রিসার্চ স্কলার এবং ২০১৭ সালে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন প্রাণিচিকিৎসা শিক্ষা প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রান্সের ন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্কুল অফ এলফোর্ট (এনভা) এর ভিজিটিং স্কলার হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি ২০২৩ সালে লাওসে এসএএডিসি ইয়াং ইনভেস্টিগেটর স্কলারশিপ, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইসিএএসভিএম এর ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড, ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডে এসএএডিসি ইয়াং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, ২০১৪ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনফরমেশন ইনস্টিটিউট, সায়েন্টিফিক রিসার্চ এবং ওপেন এক্সেস লাইব্রেরির যৌথ উদ্যোগে প্রদত্ত ইয়ং রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড, কানাডার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সোসাইটি প্রদত্ত ট্রাভেল গ্রান্ট-২০১৪ এবং ২০১১ইং সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সোসাইটি (আইইউএমএস) কর্তৃক প্রদত্ত ‘এশিয়ান ইয়ং ল্যাব সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের একমাত্র ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে পরপর তিনবার ২০১৫ সালে ভিয়েতনাম ও ফিলিপিনসে এবং ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘কি ওপিনিয়ন লিডার’ এর স্বীকৃতি অর্জন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এর আগে তিনি ২০০৬ সালে ডেনমার্ক সরকারের ড্যানিডা ফেলোশিপ এবং ২০০৬ ও ২০০৮ সালে জাপান সরকার প্রদত্ত মনবুকাগাকুশো বৃত্তি লাভ করেন।

টাফটস ইউনিভার্সিটির কামিংস স্কুল অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এর ভিজিটিং স্কলার মনোনীত হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে ড. ইসলাম বলেন, বিশ্বখ্যাত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার হিসেবে স্বীকৃতি অবশ্যই আনন্দ ও অনুপ্রেরণার। এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ টাফটস ইউনিভার্সিটির ভেটেরিনারি স্কুলের সঙ্গে শেকৃবির এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল বলেন, আমেরিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় টাফটস ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে আমাদের দেশ থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য গর্বের। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি অর্জন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের পদ থেকে এবং ব্যক্তিগত জায়গা থেকে অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করছি ভিজিটিং স্কলার হিসেবে তার এই অংশগ্রহণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদ এবং ভেট সায়েন্স অ্যান্ড এএইচ ডিগ্রির জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবে।

শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, আমেরিকা সব দিক দিয়ে আমাদের থেকে অনেক অগ্রসর। টেকনোলজি, পড়ালেখার পদ্ধতি, গবেষণা এসব দিক দিয়ে তারা অনেক অ্যাডভান্স। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের ডিন ভিজিটিং স্কলার হিসেবে সুযোগপ্রাপ্তি এবং কাজের মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং এএসভিএম অনুষদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। এছাড়াও এই যাত্রার মাধ্যমে নতুন কোনো পথ উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৬/০৭/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading