এইমাত্র পাওয়া

শুভ জন্মদিন ১০১ একরের নোবিপ্রবি  

সালমান ইস্পাহানী সাইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে লক্ষ্যে ২০০৬ সালে নোয়াখালীতে প্রতিষ্ঠা করা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সালের ২২ জুন ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের ১৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। যা দেশের ২৭তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩১টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। নোয়াখালী জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাপুর-সুবর্ণচর সড়কের পশ্চিম পাশে ১০১ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদ, ২টি ইনস্টিটিউট মিলে ৩৩টি বিভাগে বর্তমানে ৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন। ছেলেদের দুটি এবং মেয়েদের ৩টি হল রয়েছে। পাঁচটি হল যথাক্রমে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হল, বিবি খাদিজা হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল।

১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের ১২টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাস হয়। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন কার্যকর হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিক এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২২ জুন ২০০৬ সালে প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম আরম্ভ করে। বিভাগগুলো হলো কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ, মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগ , ফার্মেসি বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব, সেমিনার, কর্মশালার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে এখানকার শিক্ষার্থীরা। উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে মাস্টার্স, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, আমেরিকা, ইউরোপ, তুরস্কের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে  প্রতিবছর স্কলারশিপ পায় এখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ব্যাংক, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিসিএস, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পায় এখানকার শিক্ষার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গবেষণা প্রতিবছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।

পড়ালেখার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডেও পিছিয়ে নেই তারুণ্যমুখর বিদ্যাপীঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মেধাবী শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছে বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ ক্লাব। তাদের মধ্যে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি, ছায়া জাতিসংঘ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, সায়েন্স ক্লাব, ধ্রুপদ, ড্যান্স ক্লাব, চিত্রকৃৎ, অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

আয়তনে ছোট হলেও এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কমতি নেই। শহীদ মিনার থেকে অডিটোরিয়াম, একাডেমিক ভবন থেকে লাইব্রেরি ভবন, খেলার মাঠ থেকে হল, নীলদিঘি থেকে গোলচত্বর, বকুলতলা, লন্ডনরোড, কাপলরোড, হতাশার মোড় সব মিলিয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার ক্যাম্পাস।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৩/০৬/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.