ঢাকাঃ রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে তিনি ফেসবুকে আত্মহত্যাসংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। পুলিশের ধারণা, হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন ওই ট্রান্সজেন্ডার নারী।
রাদিয়ার বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায়। তিনি গত সেপ্টেম্বরে গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত সুন্দরী প্রতিযোগিতার অডিশন রাউন্ডে উত্তীর্ণ (ইয়েস কার্ড পেয়েছিলেন) হয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন রাদিয়া। তিনি সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।
মৃত্যুর আগে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।’
তবে তার মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তারা বলছেন, এই সমাজ ব্যবস্থা ও সমাজের কিছু মানুষ তাকে হত্যা করেছে। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন, নিয়মিত বুলিং করেছেন, এই মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী।
মিরপুর থানার ওসি মুন্সি সাব্বির আহম্মেদ বলেন, কী কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন তার তদন্ত চলছে। তিনি বিভিন্ন কারণে হতাশায় ভুগছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.