‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে থানচি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রামঃ বান্দরবানের থানচি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চলছে এক ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ কর্মকর্তা দিয়ে। ঐ কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ আসলাম খান। যিনি থানচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত নিচ্ছেন বেতন-ভাতা।

এ বিষয়ে থানচির স্থানীয় এক সাংবাদিক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত  থাকার বিষয়ে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এরপর বেশ কয়েকবার সাংবাদিকের মুঠোফোন নম্বরে পুনরায় কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। যার অডিও রেকর্ড শিক্ষাবার্তা’র হাতে রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আসলাম খান গত দুই বছর ধরে তার নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে তিনি তার বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। বর্তমানে একই জেলার লামা উপজেলায় বসবাস করছেন।  মাধ্যমিকের এই শিক্ষা কর্মকর্তা যে মানসিক ভারসাম্যহীন সে বিষয়ে থানচি উপজেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা বিভাগের অনেক কর্মকর্তাই জানেন। বিষয়টি জানার পরেও তাকেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বহাল রেখেছেন। শুধু সাংবাদিক না তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও অসদাচরণ করতে ছাড়েন না।

এই বিষয়ে থানচি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, উনার (আসলাম খান) ফোন আসলে আতঙ্কে থাকি, তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন।

একজন মানসিক ভারসাম্যহীন কর্মকর্তা দিয়ে সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর কিভাবে পরিচালিত হচ্ছে এই নিয়ে বিষ্ময়ের সাথে উদ্বেগ প্রকাশ করেন থানচি উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সচেতন সমাজের অনেকেই।

এই বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, আমিও শুনেছি ওই লোক মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে একজন মানসিক ভাবে অসুস্থ ব্যাক্তি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে এখনো বহাল সেটা আমার কাছেও যথেষ্ট বিস্ময়কর। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিবেন বলে জানান।

এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, তিনি আমার সাথেও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। এত কিছুর পরও তিনি কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল আছেন এবং দুই বছর কর্মস্থলে না থেকেও বেতন ভাতা পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, সেটা উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস ভালো বলতে পারবে। তিনি গালাগাল করা স্থানীয় সাংবাদিককে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন এবং সেই মর্মে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) উত্তম খীসা বলেন, আমিও শুনেছি তিন মানসিক ভারসাম্যহীন। আমি তার সাথে কথা বলব। দেখি কি করা যায়।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২১/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Check Also

প্রধান শিক্ষককে পি-টি-য়ে আহত করলেন শিক্ষার্থীরা

গাইবান্ধা: জেলার সুন্দরগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ মিয়াকে শিক্ষার্থীদের দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত …