এইমাত্র পাওয়া

প্রতারণা মামলায় কারাগারে যাওয়া সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নেত্রকোনাঃ প্রতারণার মামলায় কারাগারে যাওয়া এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ (৫৫) নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা বিভাগ।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলী রেজা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলী রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রতারণা মামলায় কারগারে যাওয়ায় গত ৯ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ৩১ মার্চ প্রতারণা মামলায় শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজকে কারাগারে পাঠান আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি চালক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আল আমিন নামে এক যুবকের থেকে ৫ লাখ টাকা নেন শিক্ষক সাজ্জাদুল। আল আমিন বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের বাসিন্দা। শিক্ষক সাজ্জাদুল ও আল আমিন পূর্বপরিচিত। সাজ্জাদুলের পরামর্শে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়িচালক পদে আবেদন করেন আল আমিন। ২০২৩ সালের শুরুতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নেন সাজ্জাদুল। শর্ত অনুযায়ী চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি তিনি।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতারণার মামলা করেন আল আমিন। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত এসএম সাজ্জাদুল হাসান সবুজের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। তখন সাজ্জাদুল উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। পরে ৩১ মার্চ নেত্রকোনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশতাক আহমেদের আদলতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাল সাজ্জাদুল হক। তবে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শেষে ৫ এপ্রিল তিনি জামিন পেয়ে কারাগার থেকে ছাড়া পান। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে শিক্ষা বিভাগ।

বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সাজ্জাদুল হককে বরখাস্তের চিঠি গত সোমবার তার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। এখন থেকে সাজ্জাদুল হক বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে খাতায় স্বাক্ষর করবেন। তবে বিদ্যালয়ের দাফতরিক বা অন্য কোনো কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন না। এদিকে ওই বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৭/০৪/২০২৪

 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.