নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সোমালিয়ান জলদস্যুদের সঙ্গে অবশেষে হলো চূড়ান্ত সমঝোতা। মুক্তিপণ দিয়েই জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক ও এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হয়ে জাহাজটি রওনা হয়েছে আরব আমিরাতের দিকে।
কিন্তু কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হলো এম ভি আবদুল্লাহ? সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি মালিকপক্ষের কেউ। তবে সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে লেনদেন হওয়া মুক্তিপণের পরিমাণ ৫ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫ কোটি টাকা! সেখানকার পান্টল্যান্ড মিরর নামের সংবাদ মাধ্যম ডলারের এই অঙ্ক উল্লেখ করে দিয়েছে ব্রেকিং নিউজ। তবে মালিক পক্ষের আরেকটি সূত্র মুক্তিপণ বাবদ দেয়া টাকার অঙ্ক আরও কম বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে জলদস্যুদের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। নতুন বছরের শুরুর দিনই এমন সুসংবাদ দিলেন তিনি।
এটা নিয়ে আজ রোববার দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনও করতে যাচ্ছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। তবে এই সংবাদ সম্মেলনেও মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দিবেন না তারা।
১৪ বছর আগে একই মালিকের এমভি জাহান মনি নামের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেবারও তারা মুক্তিপণের অঙ্ক গোপন রাখে।
ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার জাহান রাহাত উল্লেখ করেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। শিগগির তারা দেশে ফিরবেন। ঈদ মোবারক। শুভ নববর্ষ।’ এই পোস্টেও মুক্তিপণের বিষয়টি উল্লেখ করেননি তিনি।
জানতে চাইলে মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, মুক্তিপণের বিষয়টি কৌশলগত কারণে আমরা বলতে পারব না। দয়া করে এটা নিয়ে প্রশ্ন করবেন না।
তবে আজ রোববার সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর বিষয়ে কেএসআরএম করপোরেট কার্যালয়ে বেলা ১২ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আমরা আপনাদের অন্য প্রশ্নের জবাব দিবো।’
মিজানুল ইসলাম আরও জানান, জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে আর নাবিকরা দেশে ফিরে আসবে শিগগির। প্রসঙ্গত, গত শনিবার ‘জিম্মি ২৩ নাবিক সহসাই মুক্তি পাবেন’ বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা।
১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১৪/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.