টাঙ্গাইলঃ জেলার মির্জাপুর সুমনা আক্তার (২২) নামে এক নারী একসঙ্গে ছয় সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে তিনি সন্তানগুলো জন্ম দেন। জন্ম নেওয়া সন্তানের কোনটিই জীবিত নেই বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সুমনা আক্তার জেলার সখীপুর উপজেলার কালমেঘা ছলঙ্গা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বিবাহিত জীবনের সাত বছরে কোনো সন্তান না হওয়ায় সুমনা বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন। সাত বছর পর তিনি গর্ভধারণ করেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী সুমনার গর্ভে চারটি সন্তান ছিল বলে জানা যায়।
গতকাল বুধবার শুরু হয় প্রসব ব্যাথা। গভীর রাতে বাড়িতেই একটি বাচ্চা জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার সকালে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে পরপর আরও পাঁচটি সন্তান জন্ম হয়। এরমধ্যে চারটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একেক করে সবগুলো বাচ্চা মারা যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা মৃত বাচ্চাগুলো বাড়িতে নিয়ে দাফন করে।
কুমুদিনী হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসার ডা. শতাব্দি সাহা জানান, সন্তান ধারণের জন্য ওষুধ খাওয়ায় অধিক সন্তান গর্ভধারণ করেছিল। এসব ক্ষেত্রে সময়ের আগে প্রসব হয়ে যায় এবং বাচ্চা বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। সুমানার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। গর্ভের পাঁচমাসে সন্তান প্রসব করেছে এবং বাঁচার মতো কোনো অবস্থা ছিল না।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.