নতুন করে ভাবতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

উচ্চশিক্ষায় আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হলেই হইচই পড়ে যায় অথচ মান উন্নয়নের কোনো চেষ্টা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, উচ্চশিক্ষার মান দিন দিন কেন নিম্নগামী? কেনই বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যর্থ হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখতে?

মূলত মেধাবী শিক্ষক, মানসম্মত শিক্ষা আর জ্ঞান উৎপাদনের পরিবর্তে দিন দিন প্রাধান্য পাচ্ছে ক্ষমতা, তাঁবেদারি আর ‘তথাকথিত’দের দৌরাত্ম্য। ফলে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি।

দেশে আয়োজিত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি মেলাগুলোতে’ শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি এবং তাদের প্রতিক্রিয়ায় এই আস্থাহীনতার চিত্র দেখা গেছে। এই বিদেশমুখী প্রবণতায় দেশ থেকে চলে যাচ্ছে বিপুল অর্থ ও মেধা।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সুশাসনের অভাব, শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের অনেকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, রাজনীতির নামে অস্থিরতা, যৌন হয়রানি, শিক্ষক আন্দোলন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সের কলেজগুলোতে সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে আস্থার সংকটে পড়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা।

সুতরাং উচ্চশিক্ষার করুণ দশা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শিক্ষার অভিভাবকদের ভাবতে হবে। এেই পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করাসহ দেশের কর্মসংস্থানের সঙ্গে শিক্ষার ফারাক কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আস্থা অর্জন করতে হবে।

অন্যদিকে যেসব শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাচ্ছে, তাদের উচ্চশিক্ষা শেষে দেশে ফিরে জাতীয় উন্নয়নে মেধা কাজে লাগতে হবে।

মোট কথা পুরো উচ্চশিক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। সব সরকারই অনেক অনুৎপাদনশীল খাতে অনেক অর্থ ব্যয় করে। সেই ব্যয় কমিয়ে তা শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় করলে লাভ হবে দেশের। শিক্ষায় যে ব্যয়টা হয়, তা খরচ নয়, এটি জনসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ। এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Check Also

ঋণের সুদহার আরো বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। …