সাতক্ষীরাঃ জেলার শ্যামনগরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগে প্রায় কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
এসব ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মো. ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি ২৭ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন এবং জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ২০১৯ সালে প্রথমবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরি নিয়োগ দেন। এর বিনিময়ে ৪৭ লাখ টাকা আদায় করেন। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হয়ে অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নৈশপ্রহরী পদে তিনজনকে নিয়োগ দিয়ে আরও ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সেই সঙ্গে অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ দিতে দুজনের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিউল বলেন, আগের নিয়োগগুলোতে তিনি কোনো টাকা নেননি। সম্প্রতি কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের জন্য বাপী মিস্ত্রি নামের একজনের পরিবার বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর কাছে ১২ লাখ টাকা রেখেছে।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩১/০৩/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.