ঢাকাঃ নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর বাকি আছে প্রায় এক মাস। তবে বেশ আগে থেকেই শিশুদের ভর্তির জন্য শুরু হয়েছে অভিভাবকদের দৌড়াদৌড়ি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও রাজধানীর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবার আগ্রহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারিতে যুক্ত হওয়া বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলোতে এবার শূন্য থাকবে তিন লাখের বেশি আসন।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য গত ২৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহন শুরু হয়। প্রথমে এই আবেদনের সময়সীমা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা। এবার কোনো শ্রেণিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র লটারির ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি জেলা শহর পর্যন্ত বেশিরভাগ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারির আওতায় এসেছে। সামান্য কিছু বাকি থাকলেও তাদেরকেও লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে। সরকারি ৬৯২ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসন সংখ্যা এক লাখ ১৮ হাজার ১০৬টি। তবে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার। আর চার হাজার ৩৯০ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। তবে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখের সামান্য বেশি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারিতে যুক্ত হওয়া সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন প্রায় ১১ লাখ ২২ হাজার। অন্যদিকে আবেদন মোট আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার। সরকারিতে শূন্য আসনের তুলনায় প্রায় পাঁচগুন আবেদন জমা পড়েছে। অন্যদিকে বেসরকারিতে আবেদন পড়েছে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী। এখন সরকারিতে সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা যদি বেসরকারি ভর্তি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় লটারিতে যুক্ত হওয়া স্কুলগুলোতেই শূন্য থাকবে প্রায় তিন লাখ আসন।
মাউশি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘এবার জেলা পর্যায় পর্যন্ত সকল স্কুলকে আমরা কেন্দ্রীয় ভর্তিতে যুক্ত হওয়ার জন্য বলেছি। এরপরও কিছু স্কুল যুক্ত হতে পারেনি। তাদেরকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে মাউশি অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারির আয়োজন করতে হবে। ২৮ নভেম্বর এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে সরকারিতে শূন্য আসনের চেয়ে কয়েকগুন আবেদন করলেও বেসরকারিতে অনেক কম আবেদন পড়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে আমাদের সব স্কুলই সমান। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে, যারা যেই এলাকায় থাকেন, তারা যেন সেই এলাকার স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করান।’
শিক্ষাবিদরা বলছেন, আমাদের স্কুলের সংকট নেই। শিক্ষার্থী সংখ্যার চেয়েও আসন অনেক বেশি। এরপরও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্কুল-কলেজের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এমনকি অনেক স্কুলই অনুমোদন পাচ্ছে রাজনৈতিকভাবে, সেখানে মানের বালাই নেই। তারা উচ্চহারে ভর্তি ফি, টিউশন ফি আদায় করছে। আমাদের নতুন স্কুল-কলেজ অনুমোদন না দিয়ে শিক্ষার মানের দিকে জোর দিতে হবে। প্রত্যেক স্কুলই একই মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা শুধু সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা ভিকারুননিসা, আইডিয়ালে দৌড়াদৌড়ি করবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যে যার এলাকার স্কুলে ভর্তি হবে।
শিক্ষাবিদরা আরও বলছেন, যদি আমরা প্রত্যেক এলাকায় এক বা একাধিক মানসম্পন্ন বিদ্যালয় গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বড় স্কুলগুলোর গভর্নিং বডি যে বাণিজ্য করছে, সেটা থাকবে না। যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে। রাজধানীর যানজটও অনেকাংশে কমে আসবে। আর মানসম্পন্ন স্কুল গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয় মুখে মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান বাড়ানোর কথা বললেও বাস্তবে এর তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্কুলের জন্য ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট কোটা (এলাকাভিত্তিক ভর্তি) বাস্তবায়ন করলেও তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রকৃত শিক্ষার্থীরা পুরোপুরিভাবে সেই সুফল পাচ্ছে না।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর বাকি আছে প্রায় এক মাস। তবে বেশ আগে থেকেই শিশুদের ভর্তির জন্য শুরু হয়েছে অভিভাবকদের দৌড়াদৌড়ি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও রাজধানীর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবার আগ্রহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারিতে যুক্ত হওয়া বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলোতে এবার শূন্য থাকবে তিন লাখের বেশি আসন।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য গত ২৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহন শুরু হয়। প্রথমে এই আবেদনের সময়সীমা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি আবেদন করতে পেরেছেন শিক্ষার্থীরা। এবার কোনো শ্রেণিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র লটারির ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি জেলা শহর পর্যন্ত বেশিরভাগ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারির আওতায় এসেছে। সামান্য কিছু বাকি থাকলেও তাদেরকেও লটারির মাধ্যমে ভর্তি করতে হবে। সরকারি ৬৯২ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসন সংখ্যা এক লাখ ১৮ হাজার ১০৬টি। তবে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার। আর চার হাজার ৩৯০ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ। তবে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখের সামান্য বেশি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ভর্তি লটারিতে যুক্ত হওয়া সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন প্রায় ১১ লাখ ২২ হাজার। অন্যদিকে আবেদন মোট আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬৩ হাজার। সরকারিতে শূন্য আসনের তুলনায় প্রায় পাঁচগুন আবেদন জমা পড়েছে। অন্যদিকে বেসরকারিতে আবেদন পড়েছে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী। এখন সরকারিতে সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা যদি বেসরকারি ভর্তি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় লটারিতে যুক্ত হওয়া স্কুলগুলোতেই শূন্য থাকবে প্রায় তিন লাখ আসন।
মাউশি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, ‘এবার জেলা পর্যায় পর্যন্ত সকল স্কুলকে আমরা কেন্দ্রীয় ভর্তিতে যুক্ত হওয়ার জন্য বলেছি। এরপরও কিছু স্কুল যুক্ত হতে পারেনি। তাদেরকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিয়ে মাউশি অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে লটারির আয়োজন করতে হবে। ২৮ নভেম্বর এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে সরকারিতে শূন্য আসনের চেয়ে কয়েকগুন আবেদন করলেও বেসরকারিতে অনেক কম আবেদন পড়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমে আমাদের সব স্কুলই সমান। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে, যারা যেই এলাকায় থাকেন, তারা যেন সেই এলাকার স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করান।’
শিক্ষাবিদরা বলছেন, আমাদের স্কুলের সংকট নেই। শিক্ষার্থী সংখ্যার চেয়েও আসন অনেক বেশি। এরপরও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্কুল-কলেজের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এমনকি অনেক স্কুলই অনুমোদন পাচ্ছে রাজনৈতিকভাবে, সেখানে মানের বালাই নেই। তারা উচ্চহারে ভর্তি ফি, টিউশন ফি আদায় করছে। আমাদের নতুন স্কুল-কলেজ অনুমোদন না দিয়ে শিক্ষার মানের দিকে জোর দিতে হবে। প্রত্যেক স্কুলই একই মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা শুধু সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা ভিকারুননিসা, আইডিয়ালে দৌড়াদৌড়ি করবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যে যার এলাকার স্কুলে ভর্তি হবে।
শিক্ষাবিদরা আরও বলছেন, যদি আমরা প্রত্যেক এলাকায় এক বা একাধিক মানসম্পন্ন বিদ্যালয় গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বড় স্কুলগুলোর গভর্নিং বডি যে বাণিজ্য করছে, সেটা থাকবে না। যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমবে। রাজধানীর যানজটও অনেকাংশে কমে আসবে। আর মানসম্পন্ন স্কুল গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয় মুখে মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান বাড়ানোর কথা বললেও বাস্তবে এর তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। ভর্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্কুলের জন্য ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট কোটা (এলাকাভিত্তিক ভর্তি) বাস্তবায়ন করলেও তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রকৃত শিক্ষার্থীরা পুরোপুরিভাবে সেই সুফল পাচ্ছে না।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৪/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.