চাঁদপুরঃ জেলার কচুয়া উপজেলার ১১নং দক্ষিন বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র টিনসেড ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এ শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে হিমসিম খাচ্ছে শিক্ষকরা। বিদ্যালয় ঘেষা পূর্ব-দক্ষিন পাশে থাকায় দুটি বিরাট আকৃতির রেনট্রি কড়ই গাছ শিক্ষক ও এলাকাবাসীর নির্ঘুম রাত কাটার ভাবনায় পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, কচুয়ার উত্তর-পশ্চিম জনপদের এ বিদ্যালয়ে ১৫৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ৫ জন শিক্ষক প্রতিনিয়ত তাদের লেখাপড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়টির চারদিকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান ও ভবন নির্মানে রয়েছে মামলা সংক্রান্ত জটিলতা। জনৈক ব্যক্তি ২০১৫ সালে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালত ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুানাল আদালত-১ পৃথক দুটি মামলা করায় বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওমর ফারুক আহমেদ বলেন, আমাদের দু:খ বুঝার কেউ নেই। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন,বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান, ভালো সৌচাগার না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রয়েছি। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের পাশে বেড়ে ওঠা রেনট্রি গাছ দুটি বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। গাছ দুটির নিচের অংশে পর্যাপ্ত পরিমান মাটি না থাকায় যেকোন সময় উপড়ে পড়ে বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবন ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই যথা নিয়মে যথাযত কর্তৃপক্ষ গাছ দুটি সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আবুল খায়ের সর্দার জানান, জনস্বার্থে দ্রুত মামলা দুটি প্রত্যাহার করে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানে এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.