শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত সুপারিশের অপেক্ষায় আছেন ৩২ হাজার শিক্ষকপ্রার্থী। এর মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে অনলাইনে জমা দিয়েছেন। পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েছে এনটিআরসিএ।
চূড়ান্ত সুপারিশে বিলম্ব হওয়ায় এরই মধ্যে আন্দোলনে নেমেছে প্রার্থীরা। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেন তারা। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশের দাবিতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরাম। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে তারা। এর মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা না হলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে থেকে এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এর পর এনটিআরসিএ সচিব ওবায়দুর রহমান জানান, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছি। আমরাও শতভাগ রেডি প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করার জন্য। কিন্তু এক প্রার্থী একটি রিট করায় উক্ত রিটে নিয়োগের ওপর ছয় মাসের স্টে এসেছে। আমরা ওই রিটের জবাব রেডি করেছি। আশা করছি একটি হেয়ারিং হলেই প্রবলেমটা সমাধান হয়ে যাবে। তারপর দু চার দিনের মধ্যে আমরা প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারব।
এদিকে নতুন করা জানা গেছে, ফের আইনি জটিলতার ফাঁদে পড়েছে এই শিক্ষক নিয়োগ। সম্প্রতি এনটিআরসিএর শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান এবং পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যায়ন বিভাগের দুজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তারা জানান, কিশোরগঞ্জের সাবেকুন নাহার নামে একজন নিবন্ধনধারীর নম্বর ছিল ৬৩। তার আবেদন করা পদে ৬১ নম্বর পাওয়া নিবন্ধনধারীকে প্রাথমিক সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন, যার নথিপত্র এরই মধ্যে এনটিআরসিএ সচিব দপ্তরে পৌঁছেছে।
এর আগেও শিক্ষক নিয়োগে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বরিশালের একজন প্রার্থী চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশ না পেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন।
এবার উচ্চ আদালতে অবকাশ শুরু হওয়ায় রিটের স্থগিতাদেশের ওপর শুনানির জন্য তারিখ পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে করছেন এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। চেম্বার জজ আদালতে একটি শুনানির ব্যবস্থা করতে না পারলে প্রার্থীর রিটের কারণে আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে কিছুই করার থাকবে না এনটিআরসিএর। ফলে প্রার্থীরা আন্দোলনে নামলেও আইনি জটিলতা দূর না হওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষক নিয়োগ আটকেই থাকবে।
এনটিআরসিএর একজন উপ-পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত কোনো বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিলে তো কিছু করার থাকে না। এখন এনটিআরসিএ কিছুটা নিরুপায়। আমরা চেষ্টা করবো- দ্রুত একটা হেয়ারিং (শুনানি) করানোর।
২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.