অনলাইন ডেস্ক :
বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, বুধবার সকালে পুলিশের একটি দল রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে।
তবে তাকে কোথা থেকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি পুলিশ সুপার। তিনি বলেছেন, পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
জানা যায়, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে রিফাত ফরাজী ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডের প্রধান সহযোগী। তার ভাই রিশান ফরাজীকেও পুলিশ খুঁজছে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোররাতে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বরগুনার পুরাকাটা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।
নিহত নয়ন বন্ড বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলেজ রোড এলাকার মৃত মো. আবুক্কর সিদ্দিকের ছেলে এবং রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি।
গত ২৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে (২৩) স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাতের মৃত্যু হয়।
রিফাতের ওপর হামলার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। সেখানে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করে চলেছে। আর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
বরগুনার সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিন্নি হামলাকারী সবাইকে চিনতে না পারার কথা জানালেও নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও তার ভাই রিশান ফরাজীর নাম বলেন।
ওই ভিডিওতে কালো শার্ট ও জিন্সের সঙ্গে চোখে কালো সানগ্লাস পরিহিত যে যুবককে রামদা হাতে রিফাত শরীফকে কোপাতে দেখা যায়, তিনিই রিফাত ফারজী বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.