এইমাত্র পাওয়া

মফস্বল সাংবাদিকতার সমস্যা ও সম্ভাবনা

মো: হায়দার আলী:

সংবাদপত্রকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অনিবার্য এক উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সাংবাদিকদের জাতীর বিবেকও বলা হয়। সংবাদপত্রের যাত্রা যথেষ্ট প্রচীন হলেও বিংশ শতাব্দিতে সংবাদপত্র বিভিন্ন দেশীয় আন্তজাতিক পরিমন্ডলে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ন ভূমিকা পালন করেছিল, বর্তমানেও করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ওয়াটার গেট কেলেংকারী সংশি¬ষ্ট সাংবাদিকতার গভীর তাৎপর্যপূর্ন নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেিেছল।

বাংলাদেশের সাংবাদিকগণ তাৎপর্যপূর্ন ইতিবাচক ভূমিকার স্বাক্ষর রেখেছেন। একটি দেশের সাংবাদিক, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী যদি সৎ, যোগ্য, বাস্তববাদী হয় তবে যে কোন ধরনের উন্নতি করতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের বাইরে মফস্বলের সাংবাদিকতাও পর্যাপ্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং বিভিন্ন সমস্যা প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতা বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

মফস্বল শব্দটির আভিধানিক অর্থ ”শহর বর্হিভূত স্থান” বা ”গ্রাম”। এই অর্থে মফস্বলের খবর মানে গ্রামের খবর কিন্তু বাস্তবে ঢাকার বাইরে শহর গ্রামগজ্ঞ জনপদের খবরই মফস্বলের খবর সুতরাং মফস্বল সাংবাদিকতা বলতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মাত্রার সাংবাদিকদের বুঝানো হয়। বাংলাদেশের মফস্বলে মুদ্রণ গণমাধ্যম সংশি¬ষ্ট সাংবাদিকতাকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। মফস্বল এলাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তহিক পত্রিকার সাথে সংশি¬ষ্ট সংবাদ কর্মীদের সাংবাদিকতা একভাগে চিহ্নিত হতে পারে। আর অন্য ভাগে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় পর্যায়ের দৈনিক  সাপ্তহিক পত্রিকার সাথে সংশি¬ষ্ট সংবাদ কর্মীদের কার্যক্রমকে দ্বিতীয় ভাগে দেখানো যায়। বাংলাদেশে তীব্র আন্দোলন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালে সংসদীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে যেমন প্রচুর সংখ্যক জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে তেমনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও বিপুল সংখ্যক নতুন নতুন স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তহিক পত্রিকাও প্রকাশিত হয়েছে, অন লাইন পত্রিকার সংখ্যা দেশে অনেক। ফেস বুক সাংবাদিকের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পওয়ায় প্রকৃত সাংবাদিকেরা অনুষ্ঠানের ছবি তোলার সুযোগ পর্যন্ত পাচ্ছে না।

এ সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে তেমন নিয়মনীতি না থাকায় মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে এবং সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। দেশে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। বিভিন্ন সরকার আমূলে দলীয় বিবেচনায় অনেক টিভি চ্যানেল হয়েছে। এ বিপুল সংখ্যক পত্রিকার দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সংবাদ কর্মীর প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু এসব মফস্বল সংবাদ কর্মীদের সমস্যা ও সম্ভাবনাও অনেক।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র গুলোতে মফস্বল ডেক্র নামে একটি ডেক্র আছে। এটা বার্তা বিভাগেরই অংশ। এ ডেক্রের একজন প্রধান থাকেন, তার সহযোগী থাকেন আরও কয়েকজন। ঢাকার বাইরে থেকে সংবাদদাতা, নিজস্ব প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর এ ডেক্র কর্মরত সাংবাদিকেরা প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন সাপেক্ষে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।

ঢাকার বাইরে থেকে পাঠানো সংবাদগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী সংবাদ  পত্রের বিভিন্ন পাতায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া মফস্বলের সংবাদ প্রকাশের জন্য সতন্ত্র পাতা আছে প্রতিটি সংবাদপত্রে। দৈনিক ইনকিলাবে আভ্যন্তরীন, দৈনিক আমার দেশে আমার বাংলা, দৈনিক যুগান্তরে বাংলার মুখ, প্রথম আলো সারা দেশ, বিশাল বাংলা, দৈনিক জনকন্ঠের দেশের খবর, জনপদের খবর, দৈনিক সংগ্রামের গ্রামগজ্ঞ শহর, দৈনিক নয়াদিগন্তে বাংলার দিগন্ত, দৈনিক সমকালে লোকালয় এর পাশাপাশি বিভিন্ন দৈানিক সংবাদ পত্রের অঞ্চল, মহানগর, বিভাগ ও জেলা কেন্দ্রিক স্বতন্ত্র পাতাও প্রকাশ করে থাকে। এমনও কেউ কেউ আছেন যারা কেবল মাত্র কোন দৈনিক, জাতীয় দৈনিক, সাপ্তহিক পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে থাকেন।

তাদের সকলের পরিচয় সাংবাদিক। কিন্তু বিভেদ কেন? এবিভেদের একটি গুরুত্বের কুফল এই যে, যারা উপজেলা, পৌরসভা, জেলা, বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন তাদের অনেকই কেন্দ্রীয় দপ্তরে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন তাদের তুলনায় নিজেদেরকে হীন ভাবেন। আবার কেন্দ্রীয় দপ্তরে এমন সব সাংবাদিক কাজ করেন যাদের মধ্যে এমন অনেক আছেন যারা নিজেদের মফস্বল সাংবাদিকদের চেয়ে শ্রেয়তর ভাবেন এবং এ নিয়ে আহংকার করে থাকেন। কোন কোন সময় মফস্বলের সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানিও করে থাকেন। একজন সফল সাংবাদিক যে শিক্ষা দিক্ষা, অভিজ্ঞা, দক্ষতা, যোগ্যতা, পর্যবেক্ষনক্ষমতা, মেধা ও প্রতিভা থাকা দরকার তা একজন মফস্বল সাংবাদিকেরও থাকতে পারে, আবার কেন্দ্রীয় পরিদপ্তরে যারা কাজ করেন তাদের অনেকের মধ্যে সে সব যোগ্যতা, অভিজ্ঞা, মেধা, প্রতিভা নাও থাকতে পারে। সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যপারটি তার পারফরমেন্সের উপর হওয়া উচিৎ।

সংবাদপত্র কতৃপক্ষ এটা কোন সময় ভেবে দেখেন না। উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিক, এমন কি জেলা পর্যায়ের কোন কোন সাংবাদিককে পত্রিকা কতৃপক্ষ কোন প্রকার বেতন ভাতা, সুযোগ সুবিধা দেন না। তবে তারা কোন কোন সময় অস্থায়ী নিয়োগ পত্র, নাম মাত্র একটি পরিচয়পত্র, পত্রিকার সৌজন্য কপি হাতে ধরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব কর্তব্য শেষ করেন। তার পরেও কোন কোন সময় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ না পাঠানো হলে ধমক খেতে হয়। সাংবাদিকতা হারানো ভয় থাকে। তবে হাতে গোনা কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় নিয়োজিত সাংবাদিকেরা মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে প্রতিমাসে সন্মানী দিয়ে থাকেন। যারা উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিককে সার্বক্ষণিক পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন তাদের করুন দশা।

তাদের নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা। আর যারা সাংবাদিককে নেশা বা দ্বিতীয় পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন তাদের কথা আলাদা। জীবনযাপনের জন্য সার্বক্ষণিক সাংবাদিকদের আরও অনেক কিছু করতে হয়। স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তহিক পত্রিকার সাংবাদিকদের অবস্থা আরও করুন। বেতন ভাতা, সুযোগ সুবিধাবিহীন নিয়োগকৃত সাংবাদিক পরিচয়পত্র বহনকারী ওই সব সাংবাদিকেরা পরিচয়পত্র ভাঙ্গিয়ে খেতে তারা অভ্যস্ত। ওই সব সাংবাদিকেরা বাধ্য হয়ে হলুদ সাংবাদিকতার পথ বেছে নেয়। তারা সারাক্ষণ থানায় কর্মরত অসৎ পুলিশ, এসআই, এসএসআই, ওসি’র পেছন পেছন ঘুর ঘুর করতে থাকে। কেউ কেউ সামান্য ব্যক্তি স্বার্থের কারণে সাংবাদিকতা ভুলে গিয়ে থানার ওসির দালালীতে ব্যস্ত থাকেন।

কোন ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিকে অস্ত্র, হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে চার্জসীট থেকে বাদ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতা পাতিনেতাদের মিলে ভাগ Ñবাটোয়ারা করে যাওয়া এসব অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি হেরোইনের মামলা হওয়ার পর ১৫ লাখ টাকার লেনদেনের পর এজাহার বইয়ের পাতা কেটে হয় মামলা হয়ে যায় ৩৪ ধারা। শুধু কি তাই মেয়র, এমপি, মন্ত্রীসহ জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও মাদক সম্রাটদের সাথেও সখ্যতা রেখে অবৈধ পথে কালো টাকা আয় করতেও দ্বিধা করে না। ফলে জাতির বিবেক সাংবাদিকতা হয়ে যায় বিতর্কিত কলঙ্কিত, মহান পেশা সাংবাদিক থেকে সাংঘাতিক। এত কিছুর পরেও সংবাদপত্র কতৃপক্ষ পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বাড়ানো, বিজ্ঞাপনের জন্য বিনা বেতন  ভাতায় মফস্বল এলাকায় সাংবাদিক নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও বাস্তব সত্য রাজশাহী থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় গোদাগাড়ী উপজেলায় ৬/৭ সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়ার নজীর রয়েছে। গোদাগাড়ী প্রতিনিধি, পৌরসভা প্রতিনিধি, প্রেমতলী প্রতিনিধি, রাজাবাড়ী প্রতিনিধি, বালিয়াঘাটা প্রতিনিধি, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি, কাঁকনহাট প্রতিনিধি। ২/১জন ছাড়া মফস্বল সাংবাদিকদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞা, মেধা, প্রতিভা যা থাকা দরকার তা কোন অংশে কম নেই অথচ তারা মর্যদা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা পান না। সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝঁকিপূর্ণ পেশা। এ পেশায় দৈহিক নিরাপত্তার ঝঁকি যেমন আছে, তেমনী আছে অর্থনৈতিক ঝুঁকিও।

এ উভয় ঝঁকি তুলনামূলকভাবে মফস্বল সাংবাদিকের বেশী। অথচ আর্থিক তেমন সুযোগ সুবিধা নেই। দেশ ও জনস্বাথের্ অবৈধ অস্ত্র, মাদক, চোরাকারবারী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারী জমি দখল, শোষণ জুলুম ইত্যাদি সম্পর্কে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে গেলে কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের বিরাগ ভাজন হতে হয়। প্রতিটি রিপোটের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ থেকেই। পুলিশ, ডিবি পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, পৌর মেয়র, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রীদের রিপোট করলেই হতে হয় হয়রানির স্বীকার। মিথ্যা ধর্ষণ, হত্যা, চাঁদাবাজি প্রভূতি মামলার আসামী। যেতে হয় জেলাখানায়, অন্যথায় ঘরবাড়ী, পরিবার পরিজন ত্যাগ করে মাথায় হুলিয়া নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়। অকালে হারাতে হয় প্রাণ, পুঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়, মামলা হামলাসহ চোরাচালানী মাদক ব্যবসা, পুলিশ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়তে হয়। স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তাহক পত্রিকায় নিয়োগকৃত সাংবাদিকদের বেতন  ভাতা তো দূরের কথা প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে নিয়োগকৃত সাংবাদিকেরা কোন বেতন  ভাতা পান না।

এমন অনেক দৈনিক সংবাদপত্র আছে যারা তাদের উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র সরবারাহ করেই সব কাজ আদায় করে নেন। বেতন  ভাতা তো দূরের কথা তাদের নিয়োগ পত্র পর্যন্ত দেওয়া হয় না। যারা সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন, তারা নিয়োগ পত্র না পেয়ে বেতন ভাতা না পেয়ে কিভাবে চলেন, কিভাবে জীবনজীবিকা নির্বাহ করেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন থেকেই যায়। আগেই বলা হয়েছে সাংবাদিকতা করেন অনেকে পেশা হিসেবে, মফস্বল এলাকায় এমন কতকগুলো সাংবাদিক রয়েছে যাদের কোন একাডেমিক সনদপত্র নেই। ওই সব সাংবাদিকেরা সাংবাদিকতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। তারা সাংবাদিকতার পরিচয় পত্রকে ভাঙ্গিয়ে খান, সারাদিন চুষে বেড়ান থানা, উপজেলা, পৌরসভা, রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী, মাদক সম্রাট, চোরাকারবারীর বাড়ী। অনেকে তাদেরকে সাংবাদিক না বলে সাংঘাতিক বলে থাকেন। যারা সখের বসে কিংবা দ্বিতীয় পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা করে থাকেন তাদের সংখ্যা খুব একটা বেশী না।

তারাও ওই সব সাংঘাতিকদের জন্য বিতকিৃত হয়ে পড়েন। দৈনিক সংবাদপত্র মালিক সম্পর্কে অভিযোগ আছে, তারা নাকি সাংবাদিকদের একটি পরিচয় পত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে খূঁটে খাওয়ার পরামর্শ দেন, স্পষ্টতঃ ওই সব মালিক সাংবাদিকদের ঘুষ  দুর্নীতি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হতে প্ররোচনা দেন। এমন কথাও শুনা যায় একটি পত্রিকায় প্রতিনিধি, পৌর প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, ফাঁড়ী প্রতিনিধি, কলেজ প্রতিনিধি, বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি, ষ্টাফ রিপোটার হিসেবে ৫/৬ নিয়োগ করে থাকেন। পত্রিকা মালিক সাংবাদিকদের বিজ্ঞাপনের ঠিকভাবে কমিশন না দিয়ে উল্টো তাদের কাছে মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন। মাসোয়ারা না দিলে তাদেরকে পূর্ব নটিশ ছাড়াই বাদ দিয়ে নিজ পত্রিকায় সংবাদদাতা নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। এরা সাংবাদিক নামে চাঁদাবাজ সাংঘাতিক তৈরী করছেন না সাংবাদিক পেশাকে কলুষিত করছে, এর মর্যদা নষ্ট করছে।

এ ধরনের সাংবাদিক ও পত্রিকার অসৎ মালিকদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিৎ। মফস্বল সাংবাদিকদের আর্থিক অনিশ্চয়তা দূর করার দায়িত্ব সংবাদপত্র কতৃপক্ষের যেমন; তেমনী সরকারের অনেক কিছু করার আছে। তাদের ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং ওয়েজবোর্ড যাতে ঠিকমত বাস্তবায়িত হয় সেদিকে নজর দেওয়া। আর এ কাজটি করতে পারলে দেশ জাতি সমাজের কল্যাণে আসবেই মফস্বল সাংবাদিকেরা। তারিখ ২১/১০/২০১৯ ইং

লেখক-

মোঃ হায়দার আলী,
প্রধান শিক্ষক,


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading