এইমাত্র পাওয়া

ভারতকে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন জিইয়ে রাখল ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার :

দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ৩১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল ইংল্যান্ড। নিজেদের পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলে নয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের।

তবে পরের ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি হেরে যায়। অন্যদিকে পাকিস্তান নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পায় তাহলে কপাল পুড়বে ইংলিশদের। সেক্ষেত্রে ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জেতা পাকিস্তানের।

রোববার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংলিশরা। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬০ রান করেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ৫৭ বলে ৬৬ রান করে ফেরেন জেসন রয়। তবে অনবদ্য ব্যাটিং করে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি করেন জনি বেয়ারস্টো। তিনি ১০৯ বলে ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১১১ রান করেন।

ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫৪ বলে ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় ৭৯ রান করেন বেন স্টোকস। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি আর বেন স্টোকস-জেসন রয়ের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩৩৭ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। ভারতের হয়ে মোহাম্মদ সামি ৬৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন।

৩৩৮ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে দলীয় ৮ ও ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ক্রিস ওকসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ভারতীয় ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট কোহলির সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান রোহিত শর্মা। ৭৬ বলে সাতটি চারের সাহায্যে ৬৬ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি।

তৃতীয় উইকেটে রিশব প্যান্টের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫২ রান করেন ওপেনার রোহিত শর্মা। আর এই জুটিতেই বিশ্বকাপের চতুর্থ সেঞ্চুরি করেন তিনি। সেঞ্চুরির করার পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি ভারতীয় তারকা ওপেনার। ক্রিস ওকসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। তার আগে ১০৯ বলে ১৫টি বাউন্ডারিতে ১০২ রান করেন রোহিত।

রোহিত শর্মার বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে মাত্র ২৮ রানের জুটি গড়তেই আউট হয়ে যান রিশব প্যান্ট। লিয়াম প্লাঙ্কেটের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৯ বলে ৩২ রান করেন প্যান্ট। পঞ্চম উইকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়তেই লিয়াম প্লাঙ্কেটের তৃতীয় শিকার হার্দিক পান্ডিয়া। তার আগে ৩৩ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৪৫ রান করেন পান্ডিয়া।

এরপর কেদার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও দলের হার এড়াতে পারেননি ধোনি। ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত। শেষ দিকে ৩১ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করেন ধোনি। ইংল্যান্ডের হয়ে লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট ৫৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৩৭/৭ (বেয়ারস্টো ১১১, বেন স্টোকস ৭৯, জেসন রয় ৬৬, রুট ৪৪; সামি ৫/৬৯)।

ভারত: ৫০ ওভারে ৩০৬/৫ (রোহিত ১০২, কোহলি ৬৬, হার্দিক পান্ডিয়া ৪৫, ধোনি ৪২*, রিশব প্যান্ট ৩২, কেদার যাদব ১১*; প্ল্যাঙ্কেট ৩/৫৫)।

ফল: ইংল্যান্ড ৩১ রানে জয়ী।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading